১১ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

সরাইলে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে দিশেহারা সহস্রাধিক পরিবার, স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ দাবি

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৪:১৮ অপরাহ্ণ , ১৯ আগস্ট ২০২১, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

সরাইলে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে দিশেহারা সহস্রাধিক পরিবার, স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ দাবি

এম এ করিম সরাইল নিউজ ২৪.কমঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে দিশেহারা সহস্রাধিক পরিবার। উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের পালপাড়া, সাখাইতি ও লায়ারহাটি এলাকার ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে রয়েছে।

সরজমিনে নদীভাঙ্গন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, পানিশ্বর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে ঘরবাড়ি, মসজিদ ও চাতালকলসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদীভাঙ্গনের কবলে থাকা শত শত পরিবার আতংকে দিনযাপন করছেন।

এ ব্যপারে পানিশ্বর শাখাইতি এলাকার হাজী ছমির বাড়ির কুতুব উদ্দিন ভূইঁয়া বলেন, নদীভাঙ্গনের কবলে অত্র এলাকার ২০ থেকে ২৫ টি চাতাল মিল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। একেকটি চাতাল মিলে কয়েকশ শ্রমিক কাজ করত। এখন তারা কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীপন-যাপন করছে।

শাখাইতি গ্রামের ওসমান গণি বলেন, আমি বাল্যকাল থেকে দেখেছি আমাদের বাড়ির ৩ শত মিটার পশ্চিমে মেঘনা নদী ছিল। সময়ের আবর্তে এই ৩ শত মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন আমরা আতংকে আছি। দ্রুত এখানে প্রতিরক্ষা বেড়িবাধঁ না দিলে যেকোনো সময় আমাদের বাড়ি-ঘরও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।

পানিশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ দ্বীন ইসলাম বলেন, গত ৪/৫ ধরে মেঘনা নদীর ধারাবাহিক ভাঙ্গনে ২৫ টি চাতাল মিলের ৬০ ভাগ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীভাঙ্গনের ফলে ভিটিবাড়ি হারিয়ে এখানকার অগণিত পরিবার রাস্তায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। পালপাড়া এলাকা থেকে ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীভাঙ্গনের কবলে রয়েছে। গত ৩ বছর ধরে কোটি কোটি টাকার জিও টেক্স বস্তা ফেলে নদীভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টায় সাময়িক সুবিধা হলেও স্থায়ীভাবে তেমন কোনো কাজ হয়নি।
তিনি আরও বলেন নদীভাঙ্গন ঠেকাতে স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে এক সময় পুরো পানিশ্বর এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে সেই সাথে অন্যান্য এলাকাও এই ভাঙ্গনের কবলে পড়বে। জনস্বার্থে মেঘনা নদীর এই ভাঙ্গনকবকিত এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার জন্য পানিশ্বর ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি দাবি জানিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
আরও পড়ুন