১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

সৌদি আরবে খুন হলেন সরাইলের জাকির, পরিবারে চলছে শোকের মাতম, খুনিদের বিচার দাবি

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৪:২০ অপরাহ্ণ , ৬ আগস্ট ২০২১, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

সৌদি আরবে খুন হলেন সরাইলের জাকির, পরিবারে চলছে শোকের মাতম, খুনিদের বিচার দাবি

এম এ করিম সরাইল নিউজ ২৪.কমঃ

সৌদি আরবের রিয়াদে নিজ কক্ষে খুন হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের অরুয়াইল উত্তরপাড়ার গাজী কাঞ্চন মিয়ার পুত্র গাজী জাকির হোসেন (৩০)। হত্যাকান্ডের খবরে অরুয়াইল উত্তরপাড়ায় পরিবারের লোকজনের মাঝে চলছে শোকের মাতম। সন্তান হারানোর বেদনায় বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন নিহত জাকিরের পিতা ও মাতা। শোকে স্তব্দ পুরো পরিবার। এলাকাবাসীর মাঝেও শোক বিরাজ করছে।
সরজমিনে আজ শুক্রবার(৬ আগস্ট) নিহত জাকিরের গ্রামের বাড়ি অরুয়াইল উত্তরপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, সন্তান হারানোর বেদনায় অঝোরে কাদঁছেন স্বজনরা।
নিহত জাকিরের বড় ভাই গাজী দুলাল মিয়া জানান, সৌদি আরবে থাকা আমার অপর এক ভাই গাজী সুরাহান মিয়ার মাধ্যমে গত বুধবার জানতে পারি জাকিরকে নিজ কক্ষে নৃশংসভাবে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি আরও বলেন, ৫ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে চতুর্থ জাকিরকে ১২ বছর আগে আমিই সৌদি আরবের রিয়াদে নিয়ে ছিলাম।
বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সাতটার দিকে সবাই নিজ নিজ কর্মস্থলে চলে যান। তবে জাকির হোসেন তাঁর কক্ষেই ছিলেন। দুপুরের দিকে সুরাহান মিয়া খবর পান, জাকিরকে গলা কেটে ও পেটে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাকির ও আমার অপর এক ভাই সুরাহান মিয়া সৌদি আরবের রিয়াদে হারা এলাকায় থাকতেন। তাঁদের সঙ্গে থাকতেন আরও কয়েকজন বাংলাদেশি। সৌদি আরবের বিভিন্ন কোম্পানিতে চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার কাজ করতেন জাকির। সৌদি আরবে শ্রমিক নিয়োগ নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে খুনিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি দানের পাশাপাশি জাকিরের লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
নিহত জাকিরের পিতা গাজী কাঞ্চন মিয়া কান্নাজড়িত কন্ঠে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে বলেন, আমার ছেলেকে যারা নৃসংশভাবে খুন করেছে আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
আরও পড়ুন