সরাইলে আনন্দ র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত, ৩ মাসের আহবায়ক কমিটি ৮বছর, সরাইলে আওয়ামী লীগকে শূন্য করে ফেলা হয়েছে
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৫:৪৭ অপরাহ্ণ , ১৭ মে ২০২২, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
সরাইলে আনন্দ র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত,
৩ মাসের আহবায়ক কমিটি ৮বছর, সরাইলে আওয়ামী লীগকে শূন্য করে ফেলা হয়েছে
এম এ করিম সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতাঃ
“জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে হত্যা করার ৫ বছর ৫ মাস পর জার্মান থেকে আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তনের পর বিমান বন্দর থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ ফুল আর শ্রদ্ধায় বরণ করে নিয়েছিলেন। তার পর থেকে দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামে নেতৃত্বদানের পর ১৯৯৬ সালে আমরা প্রথম ক্ষমতায় যায়। আজ ১৭মে এই দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই দিবসটি পালন করার মত কোনো আওয়ামী লীগ সরাইলে নাই। কারন কেউ আওয়ামী লীগ করে না, আমরা আওয়ামী লীগ করেছি অতীতে, এখনও করছি, ভবিষ্যতেও ইনশাল্লাহ আওয়ামী লীগ করব। আমি ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম ২ বার, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম ৩ বার, আমি সেক্রেটারী ছিলাম ১ টার্ম, ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলাম ১টার্ম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ২বার, আমি আওয়ামী লীগ না আওয়ামী লীগ বুঝি আদাইম্মা আর বাদাইম্মা আওয়ামী লীগ? আপনারা দেখেছেন, মানব জমিন পত্রিকায় এসেছে, আমাদের ছবি দিয়ে, আমরা বলে আওয়ামী লীগ করতাম পারতাম না। আমরা আওয়ামী লীগ করতে পারব কি পারব না, এই বিচারের ভার আমি আপনাদের কাছে ছেড়ে দিলাম। জনগণ রায় দিবে কারা আওয়ামী লীগ করবে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধ হয়েছে। এই দলের মধ্যে কোনো বিতর্কিত মানুষ আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারে না। আমরা শুনেছি সরাইল আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। আমরা সাধুবাদ জানাই। উপজেলা আওয়ামী লীগের ৩ মাসের আহবায়ক কমিটি ৮ বছর ধরে চলছে। আমরা চাই আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি আমাদেরকে সম্মেলনে সুযোগ দিতে হবে। একটা কথা বলে আমরা নাকি ইকবাল আজাদের হত্যাকারী। আমরা ইকবাল আজাদকে হত্যা করি নাই। আমরা ঐ সময় কেউ ছিলাম না। আমি শিউলি আজাদ এমপিকে বলতে চাই, আপনি তো এখন এমপি। আপনি তদন্ত করুন, আপনার স্বামীর সত্যিকারের খুনি কারা। শুধু রাজনৈতিক কারনে আমাদেরকে আসামী করা হয়েছে। আমরা যেন সেক্রেটারী, সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যান, এমপি না হতে পারি ঢালাওভাবে এই মামলায় আওয়ামী লীগের লোকদেরকে আসামী করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হালিম ভাই, আমি সেক্রেটারী, জয়েন সেক্রেটারী আব্দুল জব্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, ডেপুটি কমান্ডার, ছাত্রলীগের সেক্রেটারীসহ আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে আসামী করে সরাইলে আওয়ামী লীগ শূন্য করা হয়েছে। এই ভাবে চলতে পারে না, আমরা এইভাবে চলতে দেব না। আমরা চাই মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের লোকদের দ্বারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরাইল উপজেলা শাখা গঠন করা হউক।”- সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে আজ মঙ্গলবার(১৭ মে) সকাল ১১টায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ রফিক উদ্দিন ঠাকুর এ সব কথা বলেন।
১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সরাইল উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও উপজেলা মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম এর সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফেজুল আসাদ সিজার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক তিন বারের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাহফুজ আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রনি।
এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন স্তরের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উক্ত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ শেষে একটি আনন্দ র্যালি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর তৎকালীন সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি এ কে এম ইকবাল আজাদ প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সেক্রেটারীসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামে হত্যা মামলা হয়। আসন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে উক্ত হত্যা মামলার আসামী ২৭ জন আওয়ামী লীগের কোনো পদ না পাওয়ার বিষয়ে মানব জমিন পত্রিকায় বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নড়ে-চড়ে ওঠেছেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন