সরাইলে ২হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ, আটক: ৩
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১০:৪২ অপরাহ্ণ , ৩০ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 8 months আগে
সরাইলে ২হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ, আটক: ৩
এম এ করিম সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ইজারাকৃত বিলে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকারের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের শাপলা বিলে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, অবৈধ রিং জাল ও ফিক্সড ইঞ্জিন ব্যবহার করে ইজারাকৃত বিল থেকে অবৈধ ভাবে মাছ আহরণ করে মাছের স্বাভাবিক বংশ বিস্তারে বাঁধাগ্রস্ত করাসহ ইজারাদারকে ক্ষতিগ্রস্ত করায় মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ এর আলোকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে ৩ জনকে আটক করার পাশাপাশি অবৈধভাবে মাছ শিকারে ব্যবহৃত ২ হাজার মিটার নিষিদ্ধ রিং জাল ও ২ টি নৌকা জব্দ করা হয়। আটককৃতদের একজন এ সময় দেশীয় অস্ত্র টেটা ও বল্লম নিয়ে অভিযানে বাঁধার চেষ্টা করে।
সরকারি কাজে বিঘ্ন ঘটানোর দায়ে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ১৮৬ ধারায় ভ্রাম্যমান আদালতে আটককৃতদের ১জনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অপর ২জনকে মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০ এর ৩ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে প্রত্যেককে ৫হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া জব্দকৃত রিং জাল ঘটনাস্থলে আগুন দিয়ে ধ্বংস করা হয়। জব্দকৃত দুইটি নৌকা সরাইল থানার জিম্মায় রাখা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন শাহজাদাপুর ইউনিয়নের ক্ষমতাপুর গ্রামের টুনু মিয়ার পুত্র হাবিব মিয়া। এছাড়া আঁখিতারা গ্রামের হাফিজ মিয়ার পুত্র রায়হান ও ফতো মিয়ার প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এ সময় সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল হাসানসহ উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মো. মোশারফ হোসাইন অভিযান পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিৎ করে বলেন, নদীতে মাছ শিকারে কারেন্ট জাল ব্যবহার সম্পূর্ণ অবৈধ। অবৈধভাবে কারেন্ট জাল দিয়ে কেউ যদি মাছ শিকারের চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন