১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

সরাইলে শিশু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে মিথ্যা আপত্তিকর পোষ্ট, থানায় সাংবাদিকের জিডি।

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১১:১২ পূর্বাহ্ণ , ১ মে ২০১৮, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 7 years আগে

ডেস্ক রিপোর্ট:

 সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে( ফেসবুকে) সাংবাদিক মাসুদ ও এক শিশু শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট আপত্তিকর পোষ্ট করেছে দুইটি ফেক আইডি। সামাজিক ভাবে হয়রানী ও মানহানীর অভিযোগ এনে এ বিষয়ে সরাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন মো. মাসুদ (ডায়েরী নং-১২৩৬, তারিখ-২৯.০৪.২০১৮ খ্রি:)। ওই দুটি ফেক আইডি থেকে ইতিপূর্বেও স্থানীয় এমপি সহ গুরুত্বপূর্ণ একাধিক লোকের বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে অশ্লিল ও অনৈতিক বিষয় উল্লেখ করে কয়েকটি ষ্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে। উপজেলার কালিকচ্ছে এমন ঘটনা ঘটছে। জিডি ও অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার কালিকচ্ছ এলাকায় নবনির্মিত একটি শহীদ মিনারের প্রতিষ্ঠাতাদের কমিটির তালিকাকে কেন্দ্র করে পক্ষ বিপক্ষ তৈরী হয়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রথমে উত্তেজনা ও পরে মারধর হামলা মামলার ঘটনা ঘটেছে। ক্ষিপ্ত হয়ে তথ্য আইনের তোয়াক্কা না করে কিছু লোক ফেসবুকে পত্রিকার রিপোর্টের মত করে যা ইচ্ছা তাই লিখছেন। ২ এপ্রিল দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে সাহগীর মৃধা নামের ফেসবুক আইডি থেকে বিজয় টিভি ও দৈনিক খবর পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি, সরাইল প্রেসক্লাবের সদস্য মো. মাসুদকে দায়ী করে কুৎসা রটানো হয়। সেই সাংবাদিক শব্দটির আগে অশালীন ভাষা ও ব্যবহার করেন। সম্প্রতি কালিকচ্ছ পাঠশালা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা টিফিনের সময় পালিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ার ঘটনায় কর্তৃপক্ষ শাস্তির ব্যবস্থা করেন। সেই হিসাবে মাসুদের ছেলে সহ ওই বিদ্যালয়ের ৩-৪ জন শিশু শিক্ষার্থীকে সাময়িক বরখাস্থ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ২৩ এপ্রিল সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে এমডি মাহিম ইসলাম নামের ফেক আইডি থেকে লেখা হয় মাসুদের ছেলেকে ইভটিজিং এর দায়ে স্কুল থেকে বরখাস্থ করা হয়েছে। সেইসাথে মাসুদের নামের আগে অত্যন্ত বাজে দুটি শব্দ লিখা হয়। আবার মাসুদ ও তার ছেলের ছবিও পাশাপাশি পোষ্ট করা হয়। পরিকল্পিত উপায়ে একাধিক আইডি’র মাধ্যমে বিষয়টিকে বহুল প্রচার করা হয়। ২৫ এপ্রিল রাতে এ লেখাকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ করে ফেসবুকে একটি ষ্ট্যাটাস দেন প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম মানিক। স্কুল কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্যে অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার পরামর্শের বরাদ দিয়ে প্রধান শিক্ষক লিখেছেন- আমার স্কুলে ইভটিজিং এর কোন ঘটনা ঘটেনি। আর এজন্য কোন ছাত্রকে বরখাস্থও করা হয়নি। একটি আইডি থেকে ইভটিজিং এর কথা উল্লেখ করে একটি পোষ্ট করা হয়েছে। যাহা কমিটির দৃষ্টি গোচর হয়েছে। আমি এ ধরণের মিথ্যা পোষ্ট করা থেকে বিরত থাকার আহবান করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
আরও পড়ুন