সরাইল বিকাল বাজারের জামাল স্টোর দোকানের মুদি ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন ও তার পুত্র শাকিলের কান্ড! অনৈতিক ও অসামাজিক সম্পর্ক স্থাপনের জের ধরে পিতা-মাতা ও তাদের সন্তানদের ত্যাজ্য করলেন মেয়ে
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৬:৪৯ অপরাহ্ণ , ১০ নভেম্বর ২০১৮, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগেএম এ করিম সরাইল নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল বিকাল বাজারের জামাল স্টোর দোকানের মুদি ব্যবসায়ী মো: জয়নাল আবেদীন ও তার পুত্র ইফতেখার আবেদীন শাকিলের অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকান্ডে এলাকায় তুলকালাম সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে আইনগত প্রক্রিয়ায় তার দ্বিতীয় মেয়ে নাসরিন আক্তার নিজ পিতা মো: জয়নাল আবেদীন, মাতা সেলিনা বেগম, আপন ভাই ইফতেখার আবেদীন শাকিল, মঈন উদ্দিন শাদিল, বোন শারমিন আক্তার, নুসরাত জাহান ও ইসরাত জাহানের সাথে সকল সম্পর্ক ত্যাগ করে তাদেরকে ত্যাজ্য করেছেন। গত বুধবার (৭নভেম্বর/২০১৮) বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট ডিভিশনের বিজ্ঞ সদস্য এডভোকেট মোহাম্মদ ওসমান গনি এর মাধ্যমে বিজ্ঞ নোটারী পাবলিক কমিশনারের কার্যালয়, ঢাকা থেকে এফিডেফিট করে আইনগতভাবে উক্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এফিডেফিটে লিখিত ঘটনার বিবরনে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সহিলপুর ইউনিয়নের নন্দনপুর কলামুড়ী গ্রামের মো: জয়নাল আবেদীন এর দ্বিতীয় মেয়ে নাসরিন আক্তারের সাথে গত ৫/৬ বছর পূর্বে সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল এর পুত্র মোহাম্মদ আব্দুল করিম এর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। সেই থেকে মহান আল্লাহর মেহেরবানীতে পারিবারিকভাবে সুখেই তাদের দাম্পত্য জীবন চলে আসছিল। দীর্ঘ বিরতি দিয়ে স্বামীর অনুপ্রেরণায় নাসরিন আক্তার উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রীতে অধ্যায়নরত আছেন। তাদের সুখী দাম্পত্য জীবনে দু:খের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় নিজ জন্মদাতা পিতা-মাতা ও আপন ভাই-বোনেরা। শৈশবকাল থেকে নাসরিন আক্তার ও তার বড় বোন শারমিন আক্তারকে পিতার আদর ও মাতৃ¯েœহ থেকে বঞ্চিত করে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা শহরের মৌলভীপাড়ায় খালেক মঞ্জিলে নাসরিনের আপন বড় খালাম্মা (মৃত) জাহানারা বেগমের নিকট পালিত কন্যা হিসাবে সোপর্দ করে দেন তাদের জন্মদাতা পিতা-মাতা । তাই শিশুকাল থেকেই খালাম্মা জাহানারা বেগমকে মা ও খালু আবুল ফয়েজকে বাবা বলে ডাকতে শিখেছেন এবং তাদের আদর ¯েœহে জেলা শহরে থেকেই বড় হয়েছেন তিনি । নাসরিন যখন ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী তখন তার দত্তক মা জাহানারা বেগম ক্যানসারে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর ১ দিন আগে সেলিনা বেগমকে প্রকৃত মা ও জয়নাল আবেদীনকে প্রকৃত বাবা বলে পরিচয় করে দিয়ে তাদের হাতে তাকে সোপর্দ করে দেন। সেই থেকে সেলিনা বেগমকে মা ও জয়নাল আবেদনীকে বাবা বলে ডাকতে শিখেছেন নাসরিন আক্তার। পারিবারিক জটিলতায় জেলা শহরের খালেক মঞ্জিল বাসা থেকে নন্দনপুর কলামুড়ী গ্রামের বাড়িতে যেতে হয়েছে নাসরিকে। তখন বুধল হাই স্কুলে ৭ম শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে বাবা জয়নাল আবেদীন ও মাতা সেলিনা বেগমের সান্নিধ্যে পড়ালেখা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পড়া-লেখা করাকালীন পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। তার স্বামী, পরিবার, আত্বীয়-স্বজন, প্রতিবেশীদের মাধ্যমে তিনি শুনেছেন ও বিয়ের পর তিনি নিজে দেখেছেন তার স্বামীর ঘরের পূর্বপাশের ঘরের মালিক মৃত জসিম উদ্দিন তার স্বামীর রক্তের ও এক গোষ্ঠীর আপন চাচাত ভাই। মৃত জসিম উদ্দিন এর ২য় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে শৈশবকাল থেকেই নিজের মেয়ের মত লালন পালন করে এসেছেন তার স্বামী। বর্তমানে জান্নাতুল ফেরদৌস সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনির ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ছাত্রী হিসাবে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং তার জন্ম তারিখ ১৬/০৩/২০০৩ যার আনুমানিক বর্তমান বয়স প্রায় ১৫ বছর। একই বিদ্যালয়ে তার স্বামী মোহাম্মদ আব্দুল করিম একজন সহকারী শিক্ষক (গণিত) হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। শিশুকাল থেকেই জান্নাত তার স্বামীকে কাকা মাঝে মাঝে বাবা বলে সম্বোধন করে এসেছেন। পারিবারিকভাবে জান্নাত নাসরিনকে চাচী আম্মা, তার বাবা জয়নাল আবেদীনকে নানা, মা সেলিনা বেগমকে নানু, বোনদেরকে আন্টি ও তার একমাত্র পূত্র এনামুল করিম রোহানকে(৫) ভাইয়া বলে ডেকে আসছেন। পারিবারিক চমৎকার সম্পর্কের মধ্য দিয়ে সুখেই চলে আসছিল তাদের দিনকাল। ঘটনার বিবরনে আরো জানা যায়, নাসরিন আক্তারের স্বামীর বাড়িতে তার বড় ভাই ইফতেখার আবেদীন শাকিল আসা-যাওয়ার সুবাধে জান্নাতকে ভাগনে ও জান্নাতের মাকে ভাবী বলে সম্বোধন করতেন এবং তাদের ঘরে আসা-যাওয়া করতেন। এদিকে বেশ কয়েক বছর আগে সৌদি আরবে দুর্ঘটনায় জান্নাতের বাবা জসিম উদ্দিন মারা যাওযায় পারিবারিক দৈন্যতায় পরে তাদের পরিবার। এ অবস্থায় মৃত জসিম উদ্দিনের লাশ বিদেশ থেকে দেশে আনা, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয় প্রদত্ত ২লক্ষ টাকা উত্তোলনে সার্বিক সহযোগিতা সহ পিতৃহারা জান্নাতুল ফেরদৌসের বড়বোন ফাহমিদা আক্তার পপির সাম্প্রতিক বিয়েদানে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করাসহ পিতৃ¯েœহে জান্নাতকে লালন পালন করে বড় করেছেন তার স্বামী। বোনের বাড়িতে আসা যাওয়ার সুযোগে ও পারিবারিক সুসম্পর্কের সুবাধে নিজের ভাগ্নে বলে সুপরিচিত সেই জান্নাতুল ফেরদৌসের দিকে কুনজর পরে তার আপন বড় ভাই ইফতেখার আবেদীন শাকিলের। সরাইল বাজারে জামাল স্টোর নামে মুদী দোকানের ব্যবসায়ী হিসেবে তার ভাই ইফতেখার আবেদীন শাকিল জান্নাতের মাতা আঞ্জুমানেরা বেগম সাথীকে নিজ দোকান থেকে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য দেওয়া নেওয়ার মাধ্যমে গোপন অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। ২/৩ বছরের সেই অন্তরঙ্গ সম্পর্কের জের ধরে নিজ বোন নাসরিনের সাথে সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তার নিজ পিতা-মাতা ও আপন বড় ভাই। নাসরিনদের বড় বাড়ি, বিল্ডিং, জমি জমা ও শহরে বাড়ি এসব কিছুর প্রতি দারুন আকৃষ্ট হয়ে নাসরিন ও তার স্বামীর পরিবারের লোকজনের সাথে অসংলগ্ন আচরন করতে থাকে জান্নাতের মাতা আঞ্জুমানেরা বেগম সাথী ও তার পৈত্রিক পরিবারের লোকজন। নাসরিনের স্বামী ও তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকান্ডে আঞ্জুমানেরা বেগম সাথী ও নাসরিনের পৈত্রিক পরিবারের লোকজনদের বার বার বাধাঁ দেওয়া সত্ত্বেও কিছুতেই কর্ণপাত করেননি তারা। সামাজিক সকল সর্ম্পক ভুলে নিজের মেয়ে জান্নাতকে তার বড় ভাইয়ের কাছে বিয়ে দেওয়ার প্রানপণ চেষ্টায় পারিবারিক সকল সম্পর্ক ওলটপালট করে দেন আঞ্জুমানেরা বেগম। নানা কুটকৌশল ও পরিকল্পনা করে তার পিতা, মাতা, ভাই ও বোনদের নিজের ভাগে নিয়ে তাহাদের সবাইকে নাসরিন ও তার স্বামীর প্রতি বিষিয়ে তুলেন। জন্মদাতা পিতা জয়নাল আবেদীন ও আপন বড় ভাই ইফতেখার আবেদীন শাকিল আঞ্জুমানেরা বেগম সাথী ও তার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস প্রকাশ জান্নাত এর সাথে অনৈতিক সম্পর্কের জালে বন্দী হয়ে নিজের মেয়ে হিসাবে নাসরিনকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করতে থাকে সেই সাথে তার স্বামীর সাথে অসামাজিক আচরন করতে থাকে। এই অনৈতিক সম্পর্ক থেকে ফিরে আসতে বার বার অনুরোধ করা স্বত্বেও মেয়ের দরকার নেই বলে অন্যান্য ভাই-বোনদের যোগসাজসে তার পিতা মাতা অনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত করতে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে এবং মেয়ে হিসাবে নাসরিনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল করে তার সামাজিক মর্যাদাকে ভূলন্ঠিত করে তাকেঁ অন্ধকারে ছুড়ে দেয়। এছাড়া নিজের মেয়ের সাথে সর্ম্পক ছিন্ন করে বাজারে বন্দরে নাসরিনের স্বামী ও তার নামে নানা কুৎসা রটনা করে মেয়ের মর্যাদা থেকে পিতা-মাতা ও বোনের মর্যাদা থেকে ভাইবোনেরা তাকে বঞ্চিত করে। পিতা ও ভাইয়ের অসংলগ্ন আচরনকে প্রকাশ্যে তার মা, বোনেরা সমর্থন ও সহযোগীতার মাধ্যমে অনৈতিক অসামাজিক সম্পর্ককে প্রতিষ্ঠিত করে নাসরিন ও তার স্বামীর সামাজিক ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। গোপনে চক্রান্ত করে তার পিতা, মাতা, ভাই বোন ও জান্নাতের মাতা আঞ্জুমানেরা বেগম অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুল ছাত্রী জান্নাতের সাথে নাসরিনের আটত্রিশ উর্দ্ধো ভাই ইফতেখার আবেদীন শাকিলের বিয়ে সম্পন্ন করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং আইনগতভাবে বাল্যবিবাহের অপরাধকে ঢাকতে এসএসসি পাশের পর বিয়ে করানো হবে বলে প্রচার করছেন। এতে করে নাসরিন তার জন্মদাতা পিতাকে বিয়াই, জন্মদাতা মাতাকে বিয়াইন, আপন বড় ভাইকে কাকা, বোনকে আন্টি, নাসরিনের একমাত্র পুত্র সন্তান এনামুল করিম রোহান সামাজিক পরিচয় হিসাবে নিজ মামাকে দুলাভাই, নিজের আপুকে মামী, নিজের নানুকে তালই, নানীকে মাঔই, চাচী আম্মাকে বেয়াইন বলে ডাকা সর্ম্পূন অসামাজিক ও দৃষ্টিকটু। তাই নাসরিন আক্তার তার স্বামী মোহাম্মদ আব্দুল করিম ও তার একমাত্র পুত্র এনামুল করিম রোহানের সামাজিক মর্যাদা ও ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে কারো প্ররোচনায় উদ্ধুদ্ধ না হয়ে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে তার পিতা মোঃ জয়নাল আবেদীন, মাতা সেলিনা বেগম, ভাই ইফতেখার আবেদীন শাকিল, মঈন উদ্দিন শাদিল, বোন শারমিন আক্তার, নুসরাত জাহান ও ইসরাত জাহানের সাথে আইনগতভাবে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন এবং তাদের সহায় সম্পত্তির প্রতি তার কোন দাবী দাওয়া অধিকার না রেখে নিজ থেকে তিনি পিতা-মাতা কন্যা সম্পর্ক এবং তাহাদের অন্যান্য ছেলে মেয়ের সাথে ভাই বোন সর্ম্পক ছিন্ন করে সমস্ত দাবী-দাওয়া ও অধিকার ত্যাগ করেছেন। সেই সাথে পিতা মোঃ জয়নাল আবেদীন ও মাতা সেলিনা বেগম এর সাথে ভবিষ্যতে তাহাদের কোন দায়-দায়িত্ব তার উপর বর্তাবেনা এবং তার কোনো দায়-দায়িত্বও তাহাদের উপর বর্তাবেনা বলে উক্ত এফিডেফিট থেকে জানা গেছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন