সরাইল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী পায়েল হোসেন মৃধা, ক্লিন ইমেজ ও ত্যাগের মূল্যায়ন চাই
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১১:২৩ অপরাহ্ণ , ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
সরাইল নিউজ ২৪.কমঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আসন্ন সম্মেলনে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী পায়েল হোসেন মৃধা। নিজের ব্যক্তিগত ক্লিন ইমেজ ও রাজনৈতিক ত্যাগের মূল্যায়ন পাবেন বলে তিনি আশাবাদী।
সরাইল নিউজ ২৪.কম এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে পায়েল হোসেন মৃধা বলেন, স্কুল জীবন থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর আদর্শ বুকে ধারণ করে ২০০৪ সালে এসএসসি পাস করে সরাইল সরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্র রাজনীতিতে আবির্ভূত হই। তখনকার বিএনপি-জামাত সরকারের সময়ে আহসান উল্লাহ মাস্টার, সাবেক অর্থমন্ত্রী এসএম কিবরিয়া সহ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের উপর শোষণ, হত্যা ও ঘুমের প্রতিবাদে কলেজ প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ মিছিল করি। একই কলেজ থেকে ২০০৬ সালে এইচএসসি, ২০১০ সালে স্নাতক ও ২০১২ সালে সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করি। তিনি আরও বলেন ফখরুদ্দিন ও মঈন উদ্দিন এর শাসন আমলে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি চেয়ে রাজপথে মিছিল করি।
কলেজ ছাত্রলীগের পাশাপাশি সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগে সক্রিয় অংশগ্রহণ, দীর্ঘ আট বছর রাজনীতি করার পর ২০১২ সালে সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ভাবে দায়িত্ব পালন করি। ২০১৬ সাল থেকে সরাইল উপজেলা আওয়ামী যুব লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে এখন পর্যস্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করছি। ২০১৬ সালে জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়। বৈষ্যিক মহামারী করোনা মোকাবেলায় সরকারি খাদ্যসামগ্রীর পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও খাদ্যসামগ্রী সহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করি। সরকারি অর্থায়নে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছি। পারিবারিক ভাবে আমার বাবা একজন আওয়ামী সাপোর্টার, আমার চাচা ভাষা সৈনিক মরহুম এ্যাডভোকেট আব্দুস সামাত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা । আমার চাচাত ভাই এহসান উল্লাহ মাসুদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি এবং আরেক চাচাত ভাই ইখতিয়ার হোসেন মৃধা রিপণ সরাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি । আমার মামাত ভাই কাজী সালা উদ্দিন পিন্টু সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও
সাবেক সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপ-কমিটি। আরেক চাচাত ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা মুহাম্মদ হোসেন ১৯৭৪ সালে সেভেন মার্ডারে নিহত হয়।
তিনি আরও বলেন, ২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সরাইল উপজেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডে আমার উপস্থিতি নিশ্চিত রাখি। তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভালোবাসার কারনে আমার আজকের এই অবস্থান। সবার ভালোবাসা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমি মনেকরি বাংলাদেশ আয়ামীলীগ সংগ্রামী চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক নিখিল ভাইয়ের নেতৃত্বে ক্লিন ইমেজ ও ত্যাগী নেতারাই জেলা ও উপজেলার নেতৃত্বে আসবে। আমি স্বচ্ছ রাজনীতি করি, বঙ্গবন্ধু আদর্শকে বুকে লালন ও ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাকে বাস্তবায়ন করতে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞা বদ্ধ।”
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগ এর সঠিক বিবেচনা ও মূল্যায়নে ক্লিন ইমেজ ও রাজনৈতিক ত্যাগের সঠিক মূল্য আগামী সরাইল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলনে পাবেন বলে আশাবাদী সরাইল উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী পায়েল হোসেন মৃধা। এ ব্যপারে তিনি সকলের দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন