২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

EN

সরাইলে মেঘনার ভাঙ্গনে সহস্রাধিক বস্তা ধানসহ শাহ পরান অটো রাইস মিল নদীগর্ভে বিলীন

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৪:৪৩ অপরাহ্ণ , ১ জুলাই ২০২০, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে

 

এম এ করিম সরাইল নিউজ ২৪.কম:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনে সহস্রাধিক বস্তা ধানসহ একটি অটোরাইস মিল নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আজ বুধবার (১জুলাই) সকালে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের শাখায়তি উত্তরপাড়ার ৩নং ওয়ার্ড এর “শাহ পরান অটো রাইস মিল” এর একটি বৃহৎ অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত শাহ পরান অটো রাইস মিলের মালিক পানিশ্বর এলাকার মৃত হাজী দুলাল মিয়ার পুত্র নাসির উদ্দিন এর নিকট থেকে আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তি রাইস মিলটি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উক্ত মিলটি পরিচালনা করে আসছেন। প্রক্রিয়াজাত করার উদ্দেশ্যে মজুদ করে রাখা সহস্রাধিক বস্থা ধানসহ মিলটির বৃহৎ অংশ সকালে মেঘনা নদীতে হঠাৎ তলিয়ে যায়। এ সময় উক্ত মিলের শ্রমিক ও স্থানীয় এলাকাবাসী ধানের বস্তা উদ্ধারের প্রাণপণ চেষ্টা করে কয়েকশ বস্তা ধান পানির নিচ থেকে উদ্ধার করতে পারলেও বাকী ধানের বস্থা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নদী ভাঙ্গনের কবলে কয়েকশ বস্তা ধানসহ মিলটির ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও কেউ হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ ব্যপারে ক্ষতিগ্রস্থ অটো রাইস মিলটির মালিকের নিকটাত্বীয় ও পানিশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের স্থানীয় মেম্বার মো; সুমন মুন্সী এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, তেমন কোনো বৈরী আবহাওয়া না থাকায় স্বাভাবিক গতিতেই মিলটির কার্যক্রম চলছিল। মিলটিতে এক হাজারের উপরে ধানের বস্থা মজুদ ছিল। সকাল ৬টার দিকে হঠাৎ মিলটির বৃহৎ অংশ মজুদকৃত ধানসহ মেঘনা নদীতে তলিয়ে যায়। এ সময় মিলের শ্রমিকরা ধানের বস্থা উদ্ধারের চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ধানের বস্থা উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। আনুমানিক দেড় থেকে দুইশত বস্তা ধান নদীর পানিতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় এগুলোর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে সরাইল উপজেলার পানিশ্বর এলাকা মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। প্রতিরক্ষা বাধেঁর মাধ্যমে নদীর তীরবর্তী এলাকা নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

November 2023
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
আরও পড়ুন