সরাইলে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ডক ইয়ার্ড শিল্প, কর্মসংস্থান পেয়েছেন হাজারো মানুষ
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১০:২৯ অপরাহ্ণ , ২২ মে ২০২২, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 1 year আগে
সরাইলে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ডক ইয়ার্ড শিল্প,
কর্মসংস্থান পেয়েছেন হাজারো মানুষ
এম এ করিম সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে ডক ইয়ার্ড শিল্প। উপজেলার অরুয়াইল, পাকশিমুল, ফতেহপুর, রাজাপুর, আজবপুরে তিতাস ও মেঘনা নদীর কূল ঘেঁষে গড়ে ওঠেছে এই শিল্প কারখানা।
হাজার হাজার শ্রমিক দিন রাত কাজ করছেন এখানকার শিল্প কারখানা গুলোতে। বালগেট, ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের নৌকা নির্মাণ করা হচ্ছে এখানে। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এই শিল্পে৷ বছরের শুষ্ক মৌসুমে এখানে নতুন করে বিভিন্ন নৌযান নির্মাণ তোড়জোড়ে চলে।
বর্ষা মৌসুমে এখানে নির্মিত নৌযানগুলো দেশের বিভিন্ন স্থানে মালামাল পরিবহনে ব্যস্থ থাকে। জীবন-জীবিকার টানে নৌ-শ্রমিকরাও ব্যস্ত সময় কাটান তখন।
সরজমিনে গিয়ে এসকল ডক ইয়ার্ড শিল্প কারখানা ঘুরে মালিক ও কর্মরত শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে ২৯টি ডক ইয়ার্ড শিল্প রয়েছে। এর মধ্যে শ্রমিক কর্মরত আছেন ২হাজার ৫শত জন। ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ আছে ২০টি। এতে শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন ৫শত জন। এছাড়া নৌকা এবং বালগেড নৌ পরিবহন রয়েছে ১ হাজার। এখানে শ্রমিক কর্মরত আছেন ৫হাজার ৫ শত জন।
কিন্তু মেঘনার ভাঙ্গনে আর সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে শতবছরের ডক ইয়ার্ড শিল্প কারখানা অনেকটা এখন বিলুপ্তির পথে। ওই কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেলে বেকার হয়ে পড়বে সেখানকার প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার পরিবার। সেজন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সেখানকার কর্মরত শ্রমিকরা।
এ ব্যপারে মেসার্স রহমত এন্টারপ্রাইজ ও রহমত নৌ পরিবহনের সত্ত্বাধিকারী মোঃ ইয়াকুব বলেন, উপজেলার প্রত্যন্ত এই এলাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে জমজমাট নৌ-শিল্প গড়ে ওঠেছে এখানে। হাজার হাজার নৌ-শ্রমিক এ শিল্পে জড়িত থেকে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছেন। এখানে সরকারি কোনো পৃষ্ঠ-পোষকতা নেই। তিনি আরও বলেন, এই শিল্পের সাথে জড়িত মালিকপক্ষকে সরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে যদি লোন দেওয়া হত তবে এখানে এই শিল্প আরও দ্রুত বিকশিত হত। অন্যথায় সম্ভাবনাময় এই শিল্প সরকারি পৃষ্ঠ-পোষকতার অভাবে যেকোনো সময় ম্লান হয়ে যেতে পারে।
আপনার মন্তব্য লিখুন