সরাইলে প্রতিপক্ষের হামলায় অন্ত:সত্তা নারীসহ আহত: ৮, বসতঘর ভাংচুর, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুটপাট
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১২:১৭ পূর্বাহ্ণ , ২২ এপ্রিল ২০১৮, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগেএম এ করিম সরাইল নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে প্রতিপক্ষের হামলায় ৪টি বসতঘর ভাংচুর করে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই সাথে হামলাকারীরা অন্ত: সত্তা দুই নারীসহ ৮জনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছেন। উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের কালিকচ্ছ গ্রামের বারজীবি পাড়ায় গত মঙ্গলবার(১৭এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বারজীবি পাড়ার হাজী আব্দুল জব্বার এর পুত্র মাশকুর বক্স বাদী হয়ে ২৫জনের নামে ও অজ্ঞাত নামা ১০-১৫জনকে আসামী করে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং- ১৯, তারিখ- ১৮/০৪/২০১৮। প্রত্যক্ষদর্শী, এলাকাবাসী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, কালিকচ্ছ গ্রামের মনিরবাগ গ্রামের শিশু মিয়ার পুত্র জিহাদ মিয়ার পিকআপ ভ্যান গাড়ীটি ঘটনার সময় বারজীবি পাড়ার হাজী আব্দুল জব্বারের বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হাজী আব্দুল জব্বারের কাঠাল গাছের ৫০টি কাঠাল নষ্ট করে। সেই সাথে গাড়ীটির ধাক্কায় রাস্তার পাশে পুকুর পাড়ে থাকা একটি সেচ মেশিন পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় ঘরে থাকা আব্দুল জব্বারের পুত্র হোসাইন বক্স এসে গাড়িটি আটক করে। খবর পেয়ে গাড়ীটির মালিক জিহাদ মিয়া দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রসহ ৪০-৫০জন লোক সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে হোসাইন বক্সকে গাড়ীটি আটকানোর দায়ে এলোপাতারি মারধর করে গুরতর জখম করে। এসময় বাধাঁ দেওয়ার চেষ্টা করলে হোসাইন বক্সের স্বজন অন্ত: সত্তা নারী সামসুন্নাহার, পুতুল বেগমসহ মাসুম মিয়া, মাশকুর বক্স, ইয়াছিন মিয়া, নাদিম মিয়া ও আনোয়ার মিয়াকে হামলাকারীরা পিটিয়ে জখম করে। সেই সাথে হাজী আব্দুল জব্বারের বাড়ির ৪টি বসতঘর ব্যপক ভাংচুর করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ অন্যান্য মালামা হামলাকারীরা লুট করে নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে সরাইল ও জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। গুরুতর আহত ঢাকা কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র হোসাইন বক্সকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সরাইল থানার ওসি(তদন্ত) মো: কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। আসামীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে তাদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন