সরাইলে দেড় যুগ পর হাজী মুকসুদ আলী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এমপিও ভুক্ত হলেন ৪জন শিক্ষক-কর্মচারী
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ , ২৯ জুন ২০২০, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
এম এ করিম সরাইল নিউজ ২৪.কমঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দীর্ঘ দেড় যুগ পর এমপিও ভুক্ত(মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) অর্থাৎ সরকারি বেতন ভাতা প্রাপ্ত হয়েছেন ৪জন শিক্ষক-কর্মচারী। এদের মধ্যে ২জন শিক্ষক, ১জন অফিস সহকারি ও একজন অফিস সহায়ক/দপ্তরী রয়েছেন। সহকারি শিক্ষক(ধর্ম) পদে এমপিও ভুক্ত হয়েছেন মোঃ নুরুজ্জামান তিনি দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এসেছেন ও সহকারি শিক্ষক(সমাজ বিজ্ঞান) পদে এমপিও ভুক্ত হয়েছেন মোঃ আবেদ আলী। অফিস সহকারি পদে এমপিও ভুক্ত হয়েছেন অনিল চন্দ্র ও অফিস সহায়ক/দপ্তরী পদে এমপিও ভুক্ত হয়েছেন আজিজুল হক। জানা যায়,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২(সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকার ৫বারের এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইঁয়া ২০০১ সালে তাঁর পিতা হাজী মুকসুদ আলীর নামে নিজ এলাকা সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানান্দপুর গ্রামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করার কার্যক্রম শুরু করেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৪ সালে। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মো: শাহজাহান ভূইয়া। প্রতিষ্ঠান প্রধানের অকাল মৃত্যুতে থমকে যায় বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম। পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির হাল ধরেন মোঃ নুরুজ্জামান। এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীগণ আর্থিক সুবিধা বঞ্চিত হয়েও অক্লান্ত পরিশ্রম করে বিদ্যালয়টির শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে রেখেছেন। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ২শত ৫০জন শিক্ষার্থী রয়েছে। পরমানন্দপুর, ফতেহপুর, ওরিপুর ও বড়ইছাড়াসহ প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীদের প্রাণের উক্ত বিদ্যাপীঠটি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া এমপির একান্ত প্রচেষ্টায় দীর্ঘ দেড় যুগ পরে গত বছর এমপিও ভুক্ত হয়েছে। সেই থেকে শিক্ষক-কর্মচারী এমপিও ভুক্ত হওয়ার আইনী প্রক্রিয়া শুরু হয়। সরকারি বিধি অনুযায়ী সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চলতি মাসের এমপিও তালিকায় বিদ্যালয়ের ৪জন শিক্ষক-কর্মচারী এমপিও ভুক্ত হয়েছেন।
এ ব্যপারে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, দীর্ঘ প্রচেষ্ঠার ফলে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে ৪জন এমপিও ভুক্ত হয়েছেন। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী আনন্দিত। বিদ্যালয়টিতে আরও কয়েকজন শিক্ষক খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করছেন। আশা করি পর্যায়ক্রমে অন্যান্যরাও এমপিওভুক্ত হবেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মাননীয় এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইঁয়া,
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রনালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল উর্ধ্বনতন কর্তৃপক্ষ ও আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ এলাকাবাসী ও সকল শুভানুধ্যায়ীদের বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি সেই সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিদ্যালয়ের শিক্ষার গুনগত মান অর্জনসহ সার্বিক উন্নয়নে সকলের দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।
আপনার মন্তব্য লিখুন