সরাইলে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার সমর্থনে মিছিল, মনোনয়ন পত্র দাখিল
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ২:১৭ পূর্বাহ্ণ , ৫ জানুয়ারি ২০২৩, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 9 months আগে
সরাইলে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার সমর্থনে মিছিল, মনোনয়ন পত্র দাখিল
এম এ করিম সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল আশুগঞ্জ) আসনের আসন্ন উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়ার পক্ষে তাঁর ছেলে মাঈনুল হাসান তুষার মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।
বুধবার (৪ জানুয়ারী) বিকালে উপজেলা চত্বরের প্রধান সড়কে উকিল আবদুস সাত্তার ভূইঁয়ার সমর্থনে শতাধিক নেতা-কর্মী মিছিল শেষে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া হয়।
এ ব্যপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সাবেক ৫ বারের এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাঈনুল হাসান তুষার বলেন, আমার বাবা এমপি ছিলেন অনেক বার, আপনাদের ভোটে তিনি নির্বাচিত হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত মেনে উনি পদত্যাগ করেছে, দলের বাইরে উনি যায় নাই। পদত্যাগ করার পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাবা যেহেতু জনগণের কাছে অনেক কমিটমেন্ট করেছেন। তাই বাকি দিন গুলো জনগণের পাশে থেকে কিছু কমিটমেন্ট পূরনের চেষ্টা করবো। আর আমার বাবা পদত্যাগ করার পর আমার বাবাকে বহিষ্কার করেছে। যিনি স্বেচ্ছায় দল থেকে পদত্যাগ করেছেন যার কোন পদ নাই তাকে কিভাবে বহিষ্কার করে তা আমার জানা নাই।
সরকারের সাথে আঁতাত করেছেন কিনা জানতে চাইলে এমন প্রশ্নের উত্তরে মাইনুল হাসান তুষার বলেন, এটা ডাহা মিথ্যা। যারা অপপ্রচার করছেন তারা মিথ্যা বলছেন। আমার বাবা কোন দিন মিথ্যা বলে নাই। কোনো দিন লোভে পড়েননি। যদি লোভে পড়তেন তবে ৫ বারের এমপি হিসেবে উনার ৫ টি বাড়ি থাকত। ৫ টি গাড়ি থাকত। হাজার হাজার টাকা ব্যাংক ব্যালেন্স থাকত। কিন্তু উনার এসব কিছুই নেই। যেকোনো সংস্থা তদন্ত করলেই এটার সত্যতা যাচাই হবে। বিগত নির্বাচনেও আমার বাবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একমাত্র বাড়িটির জায়গা বিক্রি করে নির্বাচনী খরচ চালিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার বাবাকে সকলেই চিনেন। নতুন করে এসে উনাকে কেউ চিনাতে হবে না। সরাইল- আশুগঞ্জ এর জনগণ ভালবেসে আমার বাবাকে বারবার এমপি নির্বাচিত করেছেন। জনগণের স্বার্থে এলাকার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফের নির্বাচন করা হচ্ছে। আশা করি অতীথের মত এলাকার জনগণ আমার বাবার পাশে সবসমই থাকবে। আমি আর বেশি কিছু বলতে চাই না, সময়ে আমার বাবাই সব বলবো।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেকুর রহমান রঞ্জন, পাকশিমুল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া, উপজেলা বিএনপির সাবেক নেতা এম কামাল ও নোয়াব মিয়া, সরাইল উপছেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বারসহ শতাধিক নেতা-কর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য বিএনপির এমপিরা জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করায় অন্যান্য আসনের মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২ আসনটিও শূন্য হয়ে যায়। এই আসনে বিএনপির এমপি ছিলেন উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। তিনি এ আসন থেকে ৫ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারী এ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন