মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলণ বন্ধে ৩ গ্রামবাসীর বৈঠক
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৬:৫৭ অপরাহ্ণ , ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 1 year আগে
মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলণ বন্ধে ৩ গ্রামবাসীর বৈঠক
এম এ করিম সরাইল ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া):
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার মেঘনা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ৩ গ্রামের বাসিন্দারা বৈঠক করেছেন।
উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর পুরাতন চক বাজারে শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজাপুর, সিঙ্গাপুর ও চরকাকরিয়া গ্রামবাসীরা এই বৈঠক করেন। বৈঠক প্রায় দুই শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।
মো.মুসলিম উদ্দীনের সঞ্চালনায় বৈঠকে
সভাপতিত্ব করেন সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান।
তাঁরা অচিরেই জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেবেন। এরপরও বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে ৩ গ্রামবাসী মিলে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দেবেন বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে বক্তব্য দেন অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা মাহবুবুর রহমান, কাকরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য আবুল বাশার, সাবেক ইউপি সদস্য আবু হানিফ, সাফায়েত উল্লাহ, সাবেক সেনা সদস্য নজরুল ইসলাম প্রমূখ।
গ্রামবাসীর পক্ষে বক্তারা বলেন, ঊনপঞ্চাশ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজাপুর এলাকার মেঘনা পশ্চিমপাড়ে নদী রক্ষাবাঁধ নির্মাণ কাজ চলমান। অপরদিকে রাজাপুর এলাকার মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলণ করা হচ্ছে। একদিকে নদী রক্ষাবাঁধ অন্যদিকে অবৈধ বালু উত্তোলণ দুটি এক সাথে চলতে পারে না।
বক্তারা আরও বলেন, মেঘনা থেকে বালু উত্তোলণে সরকারের এক টাকাও লাভ হবে না। বরং ৮/১০ টি ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলণের কারণে রাজাপুর, সিঙ্গাপুর, চরকাকরিয়া এই তিনটি গ্রামে আবার নতুন করে ভাঙ্গণ দেখা দিতে পারে। এমনিতেই পূর্বে মেঘনার ভাঙ্গণে মসজিদ, গোরস্থান,ফসলি জমিসহ কয়েকশ বাড়িঘর মেঘনার গর্ভে হারিয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুল হক মৃদুল বলেন, দুবাজাইল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা বলছেন ড্রেজারগুলো কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকার মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলণ করছে। তারপরও আবার খোঁজ নিয়ে দেখবো। ডিসি স্যারের সাথে কথা বলবো।
আপনার মন্তব্য লিখুন