ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বিএনপি দলীয় সম্ভাব্য হেভীওয়েট এমপি প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৩:২৭ অপরাহ্ণ , ২৮ জুন ২০১৮, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগেএম এ করিম সরাইল(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকে সংবাদদাতা: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২(সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি দলীয় সম্ভাব্য হেভীওয়েট এমপি প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া। স্বাধীনতার পর এ আসনে তিনি এমপি হিসেবে সর্বাধিক ৪বার নির্বাচিত হয়েছেন। তৃনমূল বিএনপির রাজনীতি থেকে শুরু করে উপজেলা বিএনপি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপিসহ দলীয় কর্মকান্ডের সর্বত্রই রয়েছে তাঁর বিচরণ। জেলা আইনজজীবি সমিতির প্রতিষ্ঠাকালীন সেক্রেটারী হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। সরাইল উপজেলা বিএনপি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির গুরত্বপূর্ণ পদে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি বিএনপির অসংখ্য নেতা-কর্মীর সৃষ্টি করেছেন। দলের ক্রান্তিকালে দলীয় হালধরার পাশাপাশি দলীয় আনুগত্যের দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছেন তিনি। ফলে দলের পক্ষ থেকে পেয়েছেন আনুগত্যের পুরস্কার। ক্ষমতায় থেকেও চালিয়েছেন সহজ সরল, দাম্বিকতা ও অহংকারমুক্ত জীবন। পরিচ্ছন্ন ও ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবীদ হিসেবে নিজ এলাকাসহ খ্যাতি রয়েছে তাঁর সর্বত্র।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি দীর্ঘদিন বিএনপির দখলে থাকলেও ২০০১ সালে বিএনপির হাতছাড়া হয় এই আসনটি। তবে চারদলীয় জোট প্রার্থী হিসেবে তখন এই আসনে এমপি নির্বাচিত হন ইসলামী ঐক্যজোটে সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত মুুফতি ফজলুুল হক আমিনী(রহ.)। এর আগে আসনটিতে চার বার এমপি ছিলেন তিনি। ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসলামী ঐক্যজোটসহ বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট গঠন করা হলে ইসলামী ঐক্যজোটের জোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী এ আসনে প্রার্থী হতে চান। আসনটিতে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইঁয়া চারবার নির্বাচিত হওয়ায় দলের পক্ষ থেকে এ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও চারদলীয় জোট ঠিক রাখতে বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশে দলীয় স্বার্থে এ আসনে নিজে প্রার্থী না হয়ে জোটের প্রার্থীর সমর্থনে কাজ করেন। পরবর্তীতে বিএনপি সরকার গঠন করলে দলীয় আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে তাঁকে ভূমি প্রতিমন্ত্রী করা হয়। ক্লিন ইমেজের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সফলতার সহিত দায়িত্ব পালন করে দলীয় আস্থা অর্জন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে ২০দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে মুুুফতি ফজলুল হক আমিনী ফের এ আসনে প্রার্থী হলে মহাজোটের প্রার্থী জাপা নেতা এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা তাঁকে পরাজিত করে এ আসনে এমপি হিসেবে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫জানুয়ারীর বিতর্কিত নির্বাচনে বিএনপি অংশ গ্রহন না করায় ফের মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হন এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আসনটিতে চলছে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টি, জামায়াতে ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোট, ইসলামী ফ্রন্ট, খেলাফতে মজলিশ, জমিয়তে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোট-মহাজোটের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দোড়ঝাঁপ। বিএনপি দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ মোহাম্মদ শামীম, সরাইল উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মো: আব্দুর রহমান, সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: আনোয়ার হোসেন মাস্টার, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু আসিফ আহমেদ,কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি তরুন দে, বিএনপি নেতা ড. আজিজ আহমেদ প্রমুখ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি পুনর্বিন্যাসের পর সরাইল উপজেলার ৯টি ও আশুগঞ্জ উপজেলার ৮টিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয়েছে। এর মধ্যে সরাইল উপজেলায় প্রায় ২লাখ ৯ হাজার ভোটার ও আশুগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ১লাখ ২১হাজার ভোটার রয়েছে। বিএনপি দলীয় সম্ভাব্য হেভিওয়েট প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূইঁয়া আগামী সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন পেলে বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত এ আসনটি পুনরায় বিএনপির দখলে ফিরে আসবে বলে ধারনা করছেন বিএনপির তৃনমূল নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারগণ।
আপনার মন্তব্য লিখুন