উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া উড়ে এসে জুড়ে বসে নাই, তিনি সত্যিকার অর্থেই সরাইলের একজন গণ মানুষের নেতাঃ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ২:৫৪ অপরাহ্ণ , ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 8 months আগে
উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া উড়ে এসে জুড়ে বসে নাই, তিনি সত্যিকার অর্থেই সরাইলের একজন গণ মানুষের নেতাঃ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর
এম এ করিম সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতাঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন ঠাকুর সদ্য সমাপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচন পরবর্তী এক সভায় বলেছেন, উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া সত্যিকার অর্থেই সরাইলের একজন গণ মানুষের নেতা। উনি উড়ে আসে নাই, উনি উড়ে এসে জুড়ে বসে নাই, উনি ৬ বার এমপি হলেন, একবার মন্ত্রী হলেন। এটা চাট্টিহানি কথা না।
তিনি আরও বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোন কাজগুলি করা দরকার, কোন কাজগুলি সবার আগে প্রয়োজন, কোনগুলি দ্বিতীয় ধাপে প্রয়োজন আমরা সকলে আলোচনা করে ঐক্যমত পোষণ করে আমরা সাত্তার ভাই এর নেতৃত্বে এই এক বছর উন্নয়ন করে সরাইলের মানুষকে দেখিয়ে দেব সাত্তার সাহেব উন্নয়ন করতে পারেন এবং জানেন। যে কাজগুলি এই উপজেলার মধ্যে আগে করা উচিত এই গুলি আমরা বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে মন্ত্রনালয় থেকে শুরু করে অধিদপ্তর পর্যন্ত আমরা মুভ করব উনাকে নিয়ে এবং সরাইলের মানুষকে আবারও এই কাজগুলো উপহার দিয়ে আগামী নির্বাচনে আবার যেন উনি বিজয়ী হতে পারে সেই পথ আমরা সুগম করব।
নিন্দুকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা উনার বিরূদ্ধে কুৎসা রটনা করেছেন, বিভিন্ন কথা বলেছেন, সরাইলের মানুষ তাদের মুখে চুনকালি মেখে দিয়েছে। আমি মনে করি তাদের (সমালোচকদের) এখান থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া সত্যিকার অর্থেই সরাইলের একজন গণ মানুষের নেতা। নির্বাচনে যারা দিনে রাত্রে খাটা-খাটনিসহ পরিশ্রম করেছেন, উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এমপি সমর্থক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান।
এদিকে একই সভায় উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এমপির একমাত্র পুত্র মাইনুল হাসান তুষার বলেন,
বেশ কয়েকদিন যাবত অক্লান্ত পরিশ্রম করে, না খেয়ে রাত দিন পরিশ্রম করে আমার বাবাকে বিজয়ী করার জন্য আপনারা পরিশ্রম করেছেন। সেই পরিশ্রমের সফলতা এসেছে বিজয়ের মাধ্যমে। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ যারা আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য সহযোগিতা করেছেন, আইন শৃংখলা বাহিনীসহ যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে জনগণের ভোটে আমার বাবা ষষ্ঠবারের মত নির্বাচিত হয়েছেন, অতীতেও আপনারা আমার বাবাকে ভোট দিয়েছেন এবারও ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন এই জন্য আপনাদের সকলের প্রতি আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে, আমার বাবার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ও সশ্রদ্ধ সালাম। আপনারা দোয়া করবেন আমার বাবার জন্য। ইনশাল্লাহ সকলের সাথে পরামর্শ করে আমরা সামনে এগুবো যাতে এই অল্প কয়েক মাসের মধ্যে এই সরকারের সহযোগিতায় আমরা সরাইল উপজেলা তথা আশুগঞ্জ উপজেলাসহ একটি দৃষ্টান্তমূলক মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।
উল্লেখ্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০১৮ এ বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া চট্রগ্রাম বিভাগে বিএনপির একমাত্র এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত ১১ ডিসেম্বর তিনি দলীয় সিদ্ধান্তে জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয় এবং এ আসনে উপনির্বাচনের তফছিল ঘোষনা করা হয়।
বিএনপি দল থেকে পদত্যাগ করে তিনি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করায় দল থেকে তাঁকে বহিঃস্কার করা হয়। পরবর্তীতে কলার ছড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে ৪৪ হাজার ৯ শত ১৬ ভোট পেয়ে তিনি ফের ষষ্ঠবারের মত এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তিনি প্রথমবার স্বতন্ত্র থেকে ও পরে বিএনপি দল থেকে এ আসনে ৪ বারসহ মোট ৫ বার এমপি ও একবার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
উপনির্বাচনে এ আসনে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হামিদ ভাসানী পেয়েছেন ৯ হাজার ৬শত ৩৫ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ মটর গাড়ি প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ২ শত ৬৯ ভোট পেয়েছেন। জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জুয়েল পেয়েছেন ১ হাজার ৮শত ১৮ভোট । নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়ে বিভিন্ন কারন দেখিয়ে সাবেক ২ বারের এমপি এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পূর্ব ঘোষনা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও আপেল প্রতীকে তিনি ভোট পেয়েছেন ৪শত ৮৪ ভোট।
উপনির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ৩ শত ১৯ ভোট। এদের মধ্যে ভোট প্রদান করেছেন ৬০ হাজার ১শত ২২জন। ভোট দানে বিরত ছিলেন ৩ লক্ষ ১৩ হাজার ১শত ৯৭ জন। এ হিসেবে শতকরা ১৬.১০ ভাগ ভোটার ভোট প্রদান করলেও ভোট দেননি ৮৩.৯ ভাগ ভোটার।
আপনার মন্তব্য লিখুন