অনলাইন পত্রিকা(পোর্টাল) “sarailnews24.com” এ সংবাদ প্রকাশের পর আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন শিশু সুখী
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৮:০৬ অপরাহ্ণ , ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে
এম এ করিম সরাইল নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আর্থিক সাহায্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্য পেয়েছেন ভিক্ষার থলি হাতে নিয়ে ডাক্তার হতে চাওয়া সেই শিশু সুখী। বুধবার (২৩জানুয়ারী) সরাইল থেকে প্রকাশিত অনলাইন পত্রিকা(পোর্টাল) “ sarailnews24.com” এ “আলু আর পাঙ্গাস খেতে ভিক্ষার থলি হাতে শিশু সুখী ডাক্তার হতে চাই!” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই শিশু সুখীর সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন। ঢাকা পল্টন থেকে জালাল আহমেদ ৫হাজার টাকা, হাফেজ মাওলানা হাফেজুল ইসলাম নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক ২হাজার টাকা শিশু সুখীকে আর্থিক সাহায্য পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া নিত্য ভোগ্য পণ্যের সাহায্য নিয়ে হাত বাড়িয়েছেন স্থানীয় অনলাইন ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সেবানন্দ’। শুক্রবার(২৫জানুয়ারী) বিকালে শিশু সুখীর বাড়ি উপজেলার কালিকচ্ছ নন্দীপাড়া গ্রামে গিয়ে আর্থিক সাহায্য ৭হাজার টাকা শিশু সুখী ও তার অবুঝ ৪ভাই-বোনের উপস্থিতিতে তাদের মা হোসেনা বেগমের হাতে তুলে দেন অনলাইন পত্রিকা(পোর্টাল) “ sarailnews24.com” এর সম্পাদক ও দৈনিক নয়াদিগন্তের সরাইল সংবাদদাতা এম এ করিম মাস্টার। এ সময় অনলাইন ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সেবানন্দ’ এর এডমিন দেলোয়ার উদ্দিন ও জাকির হোসেন সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু ভোগ্যপণ্য সুখীর মা হোসেনা বেগমের হাতে তুলে দেন। সরজমিনে দেখা যায়, রাস্তাবিহীন একটি পুকুরের পাড়ে ছোট্ট একটু জায়গায় অর্ধ-ভাঙ্গা একটি টিন শেডের কুড়েঁ ঘরে সুখেীদের বসবাস। ঘরের ভিতরে প্রবেশ করতে দেখা যায়, আসবাব পত্র বলতে তেমন কিছুই নেই। ঘরের দরজা ও বেড়া ভাঙ্গা। এর মাঝেই মানবেতর জীবন-যাপন করছেন সুখীর মাসহ অবুঝ ভাই-বোনেরা। কোনো প্রকারের সাহায্য সহযোগিতা ছাড়াই অতি কষ্টে জীবন যাপন করতে হচ্ছে হত-দরিদ্র অসহায় এই পরিবারটিকে। হঠাৎ করে কিছু আর্থিক সাহায্য ও ভোগ্য পণ্য পেয়ে সুখীর মা আনন্দে কেদেঁ ফেলেন। এ সময় সুখীর মা হোসেনা বেগম কান্না ভরা কন্ঠে বলেন, মা, বাবা, ভাই, বোনসহ দুনিয়াতে আমার আপন বলতে কেউ নেই। দ্বিতীয় বিয়ে করে স্বামী আমার ও অবুঝ সন্তানদের কোনো খোজঁ-খবর নেন না। সুখীসহ আমার এতিম ৪সন্তানকে নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে আমাকে দিন কাটাতে হচ্ছে। কোনো কোনো দিন উপাস থাকতে হয়। হোসেনা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে আরও বলেন, অভাব অনটনের সংসারে মা ছিল আমার একমাত্র অবলম্বন। গত পৌষ মাসে মায়ের মৃত্যুর পর থেকে আমার অবুঝ সন্তানদের নিয়ে আমি আরও অসহায় হয়ে পড়েছি। দিশেহারা হয়ে আত্বহত্যার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার মেয়ে সুখী আমাকে সান্তনা দিয়ে বাচিঁয়ে রেখেছে এই বলে যে, মা তোমি আমাদেরকে রেখে মইরনা, আমি তোমাকে ভিক্ষা করে টাকা এনে দেব। ছেলে-মেয়েদের লেখা-পড়া করাতে চাইলেও আর্থিক সংকটের কারনে পারছি না। বাধ্য হয়েই অবুঝ সন্তানদের ভিক্ষা করতে পাঠিয়েছি। তিনি আরও বলেন, কি বলব দু:খের কথা স্যার, ভাঙ্গা এই কুড়েঁ ঘরে কোনো কোনো দিন অবুঝ সন্তানদের নিয়ে উপোস থাকতে হয়। মাঝে মধ্যে রাত ১০টায় সন্তানরা যখন পেটের ক্ষিধায় কান্নাকাটি করে তখন আমার বড় মেয়ে চুমকিকে কালিকচ্ছ বিজিবি ক্যাম্প থেকে একটি বাটি দিয়ে পাঠায় কিছু ভাত খোজেঁ আনার জন্য। এই ভাত দিয়েই এক মুঠ করে সন্তানদের খাওয়াইয়া ঘুম পারায়। যারা আমার শিশু সন্তানদের দেখে সাহায্য করেছেন তাদের জন্য আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের সাহায্য করেন। আমার অবুঝ সন্তানদের ভরণ-পোষন করিয়ে লেখা-পড়া শিখিয়ে যেন তাদের মানুষ করে গড়ে তুলতে পারি এই জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে আমি সাহায্য কামনা করছি।
ভিক্ষা করেও ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখা অবুঝ শিশু সুখীসহ অসহায় ও হত-দরিদ্র এই পরিবারটিকে আর্থিক সাহায্য করতে চাইলে অনলাইন পত্রিকা(পোর্টাল) “ sarailnews24.com” এর সম্পাদক ও দৈনিক নয়াদিগন্তের সরাইল সংবাদদাতা এম এ করিম এর সাথে ০১৭২০১০৮৬১৯ নম্বরে যোগাযোগসহ ০১৭১৩৬১৭৪৭৫ নম্বরে(সাদি পার্সনাল) বিকাশ করে আর্থিক সাহায্য পাঠালে শিশু সুখীর মাকে পৌছেঁ দেওয়া হবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন