১লা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

EN

সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পারিবারিক ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল, থানায় মামলা, গ্রেফতারঃ ২

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৪:৫৮ অপরাহ্ণ , ২৩ জুন ২০২২, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 1 year আগে

সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পারিবারিক ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা, গ্রেফতারঃ ২

এম এ করিম সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া):

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরের পারিবারিক ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার অপরাধে ২জনকে গ্রেফতার করেছেন সরাইল থানা পুলিশ। এ ব্যপারে সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বড় পুত্র সাইফুল ইসলাম ঠাকুর রাব্বি বাদি হয়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনে সরাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২ মার্চ তারিখে মরিয়ম বেগমের সাথে সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরের ইসলামী শরীয়া মোতাবেক পারিবারিকভাবে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের একটি ভিডিও সুপরিকল্পিতভাবে ধারণ করে একটি কুচক্রীমহল। পরবর্তীতে উক্ত ভিডিও দীর্ঘদিন সংরক্ষন করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকজনকে প্রদর্শণ করে এলাকায় মুখরোচক আলোচনার সৃষ্টি কর মহলটি। গোপনে ধারণকৃত পারিবারিক ঐ ভিডিওটি গত ২০ জুন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন আইডি থেকে ভাইরাল করা হয়।

বিষয়টি ভুক্তভোগী পরিবারের দৃষ্টিগোচর হলে পরিবারের পক্ষ থেকে সরাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী (জিডি) করা হয়। জিডি নং ১১৯৪।

এ ব্যপারে সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, বিষয়টি একান্তই আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক। আমার একান্ত ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়টি নিয়ে একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে আমাকে অপমান, অপদস্থ করার উদ্দেশ্যে আমার পারিবারিক মানহানি ও সম্মান নষ্ট করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। যারা এ ঘটনার অন্তরালে থেকে গোপনে ভিডিও ধারণ, ভিডিও প্রদর্শন, সংরক্ষন, প্রচার ও প্রকাশের সাথে জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আমি আইনানুগভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি দাবি করছি।

এ ব্যপারে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন মুঠোফোনে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ২ জনকে আটক করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামীদের ব্যপারে তদন্ত চলছে।

এ ব্যপারে সরাইল সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মোঃ আনিছুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, “এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে পারিবারিক সম্মতিতে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন । ঐ ভদ্র মহিলাকে নিয়ে একটি ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল হয়। সরাইল থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। জিডিমূলে তাঁরা যাদেরকে সন্দেহ করেছিলেন তাদের মধ্যে ২ জনকে আমরা আটক করে তাদের মোবাইল সিজ করি। জব্দকৃত মোবাইল থেকে ভিডিওটি ভাইরালের পূর্বের তারিখে তাদের মোবাইলে ভিডিওটি পাওয়া যায়। অতঃপর তাদের ২ জনকে গ্রেফতার করে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

October 2023
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
আরও পড়ুন