সরাইলে সরকারি স্কুলের নীচতলায় গরুর খামার, গো-সরঞ্জামের গোডাউন শ্রেণিকক্ষ!!!
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৩:১৯ অপরাহ্ণ , ২১ অক্টোবর ২০২০, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
এম এ করিম সরাইল নিউজ ২৪.কমঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নীচতলাকে গরুর খামার বানিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। একই সাথে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষকে বানিয়েছে গোবরের তৈরী বিভিন্ন সরঞ্জাম রাখার গোডাউন। উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের বড়বল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরজমিনে গিয়ে এ দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেছেন গণমাধ্যমকর্মীরা।
বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী বাড়ির প্রভাবশালী ইউপি মেম্বার আব্দুল মন্নাফ বিদ্যালয়টির নীচতলা দখল করে দীর্ঘদিন ধরে গরু রাখার খামার বানিয়েছেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এ ব্যপারে সরাইল থানার এসআই ইউসুফ জানান, মঙ্গলবার(২০অক্টোবর) চুন্টা ইউপি নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য আমি বড়বল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্বাচনের আগের দিন গিয়ে বিদ্যালয়টির নীচতলায় গরু রাখার জায়গা ও শ্রেণিকক্ষে গো-সরঞ্জাম দেখে হতভম্ব হয়েছি। তাৎক্ষনিকভাবে আমরা স্থানীয়দের সহায়তায় গরুর গোবর ও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করেছি। তারপরও পাশের ভবনে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গোবরের গন্ধ লেগেছে দিনভর। তিনি আক্ষেপ করে আরও বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনাসহ আশ-পাশ যেখানে পরিষ্কার রাখার সরকারি নিয়ম রয়েছে সেখানে বিদ্যালয়টির এমন বেহাল দশা দেখে খুবই মর্মাহত হয়েছি। এ ব্যপারে অভিযুক্ত স্থানীয় মেম্বার আব্দুল মন্নাফ বলেন, আমি এখানে গরু আগে রাখতাম এখন আর রাখি না। শ্রেণি কক্ষে গো-সরঞ্জাম রাখার ব্যপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এগুলো আমি রাখি নাই। পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন রেখেছেন। স্থানীয় মেম্বার হিসেবে এগুলো দেখা কি আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমি বলে দেব যেন এগুলো সরিয়ে ফেলে।
এ ব্যপারে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক এ কে এম তৌফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিদ্যালয়ের ক্লাস চলাকালীন সময়ে বিদ্যালয় ভবনের নীচতলায় গরু রাখতে দেখি না তবে আমরা চলে গেলে সেখানে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি গরু রাখেন। বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও এখানে গরু রাখায় বিদ্যালয়ের নীচতলা অপরিষ্কার থাকে। এ ব্যপারে আমি শীঘ্রই উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানাব।
আপনার মন্তব্য লিখুন