সরাইলে শিশু ধর্ষন ও হত্যার অভিযুক্ত মূল ঘাতক গ্রেফতার, এএসআই শাহজালালসহ পুলিশের ভূমিকার প্রশংসায় এলাকাবাসী
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৮:৪৫ অপরাহ্ণ , ২০ ডিসেম্বর ২০১৯, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
এম এ করিম সরাইল নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ডেস্কঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী শিশু জয়নবকে ধর্ষন ও হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত মূল ঘাতককে গ্রেফতার করেছেন সরাইল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ঘাতকের নাম কানাই। সে উপজেলার পশ্চিম কুট্টাপাড়া গ্রামের নিবু মিয়ার পুত্র। কানাই এই ঘটনায় জড়িত থাকার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। লোমহর্ষক এই ঘটনায় বাকরূদ্ধ সরাইলের হাজার হাজার মানুষের একটাই প্রাণের দাবি ছিল এ ঘটনায় জড়িত মূল ঘাতককে যে কোনো মূল্যে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ঘটনার পর পর সরাইল থানা পুলিশ ও র্যাবের একাধিক টিম ঘটনার মূল হোতাকে গ্রেফতারে বিরামহীনভাবে কাজ করতে থাকেন। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ সাহাদাত হোসেন টিটো, পুলিশ পরিদর্শক(ওসি তদন্ত) নূরুল হকের দিক নির্দেশনায় অবশেষে সরাইল থানার চৌকুষ ও মেধাবী পলিশ অফিসার এএসআই শাহজালাল ও এএসআই আলাউদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বৃহস্পতিবার(১৯ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বড়ই বাড়ি এলাকা থেকে কানাইকে গ্রেফতার করেছেন বলে জানা গেছে। এ ব্যপারে সরাইল থানার এএসআই শাহজালাল বলেন, ঘটনার পর থেকে উর্ধ্বতন অফিসার মহোদয়গণের দিক নির্দেশনায় বিরামহীনভাবে কাজ করে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বড়ই বাড়ি এলাকা থেকে কানাইকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। জিজ্ঞাসাবাদে কানাই ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। আজ শুক্রবার(২০ডিসেম্বর) বিকালে গ্রেফতারকৃত কানাই(৪২) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিজ্ঞ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা আক্তারের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জানা যায়, কানাই পশ্চিম কুট্রাপাড়া এলাকায় মুদিমালের ব্যবসা করে। ব্যক্তিগত জীবনে কানাই চারটি বিয়ে করলেও সব স্ত্রী তাকে ফেলে চলে গেছে। একই এলাকার কৃষক আব্দুল হাফিজ মিয়ার শিশু কন্যা ও স্থানীয় ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী জয়নব বাড়ির দৈনন্দিন মালামাল নিতে প্রায় সময় কানাইয়ের দোকানে আসতো। গত সােমবার(১৬ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে জয়নব নলকূপ মেরামতের একটি যন্ত্র (রেঞ্জ) দিতে যায় কানাইয়ের বোনের বাড়িতে। রেঞ্জ দিয়ে ফেরার পথে কানাই শিশু জয়নবকে একা পেয়ে চকলেট দিয়ে ফুঁসলিয়ে বসতঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে ও শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। পরে জয়নবের মরদেহ এলাকায় বাঁশঝাঁড়ের ভেতরে ফেলে দিয়ে আসে। পরদিন মঙ্গলবার(১৭ডিসেম্বর) বিকালে বাঁশ ঝাড়ে জয়নবের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে জয়নবের মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ ধারনা করে জয়নবকে ধর্ষন করে লাশ বাশঁ ঝাড়ে ফেলে যায় ধর্ষক। এই ঘটনায় জয়নবের মা ফেরদৌসি বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার তিন দিন পর অভিযুক্ত মূল ঘাতককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন সরাইল থানা পুলিশ। এদিকে ঘটনার মূল হোতাকে গ্রেফতারের খবরে পুলিশের প্রশংসা করছেন এলাকাবাসী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই মূল ঘাতককে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের ঘটনায় পুলিশের প্রশংসা করার পাশাপাশি ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্থির দাবি জানিয়েছেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন