সরাইলে রাতের আধাঁরে সরকারি খাল দখলের অভিযোগ
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৫:৩০ অপরাহ্ণ , ৮ মার্চ ২০১৮, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 6 years আগেএম এ করিম সরাইল নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সরকারি খাল ভরাট করে দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাঁটানিশার গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মৃত ইছাক মিয়ার ছেলে মাসুদ মিয়ার বিরুদ্ধে সরকারি খাল ভরাটের এ অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, সরাইল উপজেলার কাঁটানিশার গ্রামের প্রধান রাস্তা থেকে কাটানিশার-কানিউচ্ছ পর্যন্ত প্রায় ২০ফুট প্রস্থ একটি রাস্তা এবং রাস্তার পাশে ১৩ ফুট প্রস্থ একটি সরকারি খাল বয়ে গেছে। আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোকের ছত্র-ছায়ায় মৃত ইছাক মিয়ার পরিবারের লোকজন এই খালটির প্রায় ৪০ ফুট ভরাট করে ফেলে। বর্তমানে এই জায়গার উপর তাদের বসত ঘর উঠানো হয়েছে । এ অবস্থায় মৃত ইছাক মিয়ার পুত্র মাসুদ মিয়া আবার নতুন করে গত ২০-২৫ দিন আগে সরকারি এই খালটিতে বাঁধ দেয় এবং খাল ভরাটের জন্য ড্রেজারের পাইপ বসায়। এতে করে স্থানীয় এলাকাবাসীদের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন চুপ থাকার পর গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতের আঁধাওে মাসুদ মিয়া ও তার লোকজন হঠাৎ করে সরকারি খালটি ড্রেজার দিয়ে ভরাট করে ফেলে। এতে ফের এলাকাতে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কতিপয় প্রভাবশালী লোকের যোগসাজসে মাসুদ মিয়া ও তার লোকজন খালটি ভরাট করতে সক্ষম হয়েছে । সরকারি এই খালটি পালাক্রমে ভরাট হতে থাকায় খালের অস্থিত্ব এখন হুমকির মুখে। এছাড়া পানি নিষ্কাশনে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। দখলকৃত সরকারি খালটি পুন:উদ্ধার করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এ ব্যপারে মাসুদ মিয়া বলেন, অভিযোগটি মোটেও সঠিক নয় । আমরা নিরীহ মানুষ। সরকারি খাল দখল করিনি, আমরা আমাদের জায়গা ভরাট করেছি । নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মিজান মিয়া বলেন, খাল ভরাট করার যে মাটি তা আমার। আমি তাদের কাছ থেকে কন্ডাক নিয়েছি জায়গা ভরাট করার জন্য। আমিই তাদেরকে বলেছি খালটা একটু বাদ দিয়ে তরজা দিয়ে বাঁধ দিয়ে মাটি ফালানোর জন্য। নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল চৌধরী বলেন,খাল ভরাটের বিষয়ে আমি অবগত নয়, এ ব্যাপারে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি । নোয়াগাঁও ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা পঙ্গজ বর্ধন বলেন, বিষয়টি আমার জানা আছে। আমি তাদেরকে দুইবার নিষেধ করেছি। তারা আমার কথা না শুনে সরকারি খাল ভরাট করেছে। এ ব্যাপারে আমি আমার কর্তৃপক্ষের কাছে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছি ওনারা যে সিদ্দান্ত দেন ঐ ভাবেই আমার কাজ করতে হবে । সরাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, সরকারি খাল ভরাটের বিষয়ে আইরল ভূমি অফিস থেকে একটা রিপোর্ঠ এসেছে । আমরা তদন্ত করে যথাযথা ব্যবস্থা নেব । সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে ইসরাত বলেন, এ বিষয়ে আমার ঠিক জানা নেই। আমাকে কেউ জানায়নি ।
আপনার মন্তব্য লিখুন