সরাইলে রকেট মেম্বার হত্যাকান্ডে ২২ জনকে আসামী করে মামলা, গ্রেফতার ৭ : একজনের স্বীকারোক্তি
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ , ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
সরাইল নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ডেস্কঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আলোচিত রকেট মেম্বার হত্যাকাণ্ডে ২২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত রকেট মেম্বারের পুত্র শাহনেওয়াজ রনি বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে (১৪ ফেব্রুয়ারি) সরাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের ৩৬ ঘন্টার মধ্যে সরাইল থানার ওসি সাহাদাত হোসেন টিটোর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করেছেন। এদের মধ্যে একজন হত্যাকান্ডে জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী দিয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত আছে। এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে এলাকা শান্ত আছে। মামলার আসামিরা হলেন- সরাইল সদরের বেপারিপাড়ার মৃত ধনু বেপারির ছেলে আরমান মিয়া, স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলম মিয়া, আজমান মিয়া, আরমান মিয়ার ছেলে রিয়াদ মিয়া ও হৃদয় মিয়া, আজমান মিয়ার ছেলে ফরহাদ মিয়া ও রাশেদ মিয়া, জেলা শহরের কান্দিপাড়ার ইয়াছিদন মিয়ার ছেলে রিকসন মিয়া, মৃত পাঠান মিয়ার ছেলে আকরাম মিয়া ও আনোয়ার হোসেন, বাদল মিয়ার ছেলে হামীম মিয়া, সরাইল বেপারিপাড়ার শাহ আলম মিয়ার ছেলে ইমন মিয়া, আজমান মিয়ার ছেলে জয়, কালিকচ্ছ বেপারিপাড়ার মৃত কুমেদ আলীর ছেলে কাচু মিয়া, মৃত রমজান মিয়ার ছেলে আনার মিয়া, সদরের স্বল্প নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত অদুদ মিয়ার ছেলে, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শের আলম মিয়া, কালিকচ্ছ বেপারিপাড়ার শাহেদ মিয়ার ছেলে মিটন মিয়া, জেলা শহরের কাজীপাড়ার ইয়াছিন মিয়া, সদরের বেপারিপাড়ার মৃত তারু মিয়ার ছেলে দৌলত মিয়া, নাজু মিয়ার ছেলে ওসমান গনি ওরফে রোপম, সদরের দক্ষিণ আরিফাইল গ্রামের মৃত আবদুল আলীর ছেলে মিছির আলী এবং স্বল্প নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে নান্নু মিয়া। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে পুলিশের অভিযানে আটক সাত আসামী হলেন- নান্নু মিয়া, কাচু মিয়া ও তার ছেলে শরীফ মিয়া, রিকসন মিয়া, আকরাম মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও হামীম মিয়া।
সরাইল থানার ওসি সাহাদাত হোসেন টিটো জানান, রকেট মেম্বার ও শাহ আলম মেম্বারের মধ্যে গোষ্ঠীগত পূর্ব বিরোধ ছিল। তাদের মধ্যে একাধিক মামলাও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। শাহ আলম মেম্বারের লোকজন পরিকল্পনা করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাজারে রকেট মেম্বারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা ইতোমধ্যে এ ঘটনার সাথে জড়িত সাতজনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের মধ্যে একজন এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে এবং এ হত্যাকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পুলিশকে জানিয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে। এলাকা শান্ত রয়েছে। ওসি সাহাদাত হোসেন জানান, আমরা এই হত্যাকাণ্ডকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখছি। অভিযুক্ত একজনও রেহাই পাবে না।
আপনার মন্তব্য লিখুন