সরাইলে যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১০:৫২ অপরাহ্ণ , ৮ জানুয়ারি ২০২০, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগেএম এ করিম সরাইল নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে কলেজ অধ্যক্ষকে মারধর ও লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার(৮জানুয়ারী) দুপুরে সরাইল শাহবাজপুর তিতাস মডেল কলেজের নির্বাহী কমিটির সভাপতি, শাহবাজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান রাজিব আহমেদ রাজ্জিসহ কলেজের দুই পরিচালক একই কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম রমজান আলীকে মারধর করে আহত করেন । এ ব্যাপারে মারধরের শিকার অধ্যক্ষ এ কে এম রমজান আলী বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের বিচারের দাবিতে ফুঁসে উঠেছেন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকেরা। এ ঘটনায় নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার নানা শেণি পেশার মানুষ। মারধরের শিকার অধ্যক্ষ ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শাহবাজপুর তিতাস মডেল কলেজ এর অধ্যক্ষের কার্যালয়ে আজ দুপুরে কলেজের হিসাব নিকাশ নিয়ে নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের পরিচালক শেখ ফায়েজুল হক ও রোমান মিয়া। হিসাব নিকাশের একপর্যায়ে চেয়ারম্যান উত্তপ্ত হয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে পেটানো শুরু করেন। এতে অধ্যক্ষ বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে উপস্থিত কলেজের দুই পরিচালক ফায়েজুল হক ও রোমান মিয়া অধ্যক্ষকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এসময় অধ্যক্ষ এর সুর-চিৎকারে কলেজের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকেরা এগিয়ে এলে ইউপি চেয়ারম্যানের পক্ষে সেখানে উপস্থিত হয় কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তারা অধ্যক্ষকে আটকে করে ফেলে। এ ব্যপারে অধ্যক্ষ এ কে এম রমজান আলী বলেন, এই কলেজের নামে ইউপি চেয়ারম্যান রাজ্জি কোটি টাকা বাণিজ্য করেছেন। তিনি এ কলেজ দেখিয়ে বিভিন্ন লোক থেকে চাঁদা নিয়ে সেইসব টাকা আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করছেন। এসব টাকার হিসাব চাওয়ায় চেয়ারম্যান ও তার লোকজন আমাকে মারপিট করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আমি সরাইল থানায় উপস্থিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত বিচার প্রার্থনা করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এ ব্যপারে উক্ত কলেজের নির্বাহী কমিটির সভাপতি, শাহবাজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান রাজিব আহমেদ রাজ্জি বলেন, আমি কলেজের সভাপতি। কলেজে পড়ালেখার মান নিয়ে প্রশ্ন করায় অধ্যক্ষ আমার ওপর চড়াও হন। তাই একটু ঝামেলা ও শাউটিং হয়েছে। আমি কোন টাকা-পয়সা বাণিজ্য করিনি, এসব মিথ্যা-বানোয়াট। সরাইল থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, অধ্যক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন