সরাইলে যুবলীগ নেতাকে অপহরণের পর হাত পায়ের রগ কর্তন, বিচারের দাবীতে মানববন্ধন
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১১:২৩ অপরাহ্ণ , ৫ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে তুচ্ছ ঘটনায় যুবলীগ নেতা শামীম (৩০) কে অপহরণের পর হাত পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরূদ্ধে। আতকা বাজার এলাকার রবি মিয়ার ছেলে শামীম ১ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। গত সোমবার রাতে উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। শামীম ও অপহরণকারী আরমান মিয়ার ছেলে সোহাগ (৩০) গংদের বাড়ি শাহবাজপুর গ্রামে। অপহরণের ২ ঘন্টা পর সোহাগদের বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় মামুনকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় লোকজন। গুরূতর আহত অবস্থায় শামীমকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করার পরামর্শ দেন। কিন্তু বর্তমানে শামীম জেলা শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। গতকাল বিকেলে অপহরণকারীদের বিচারের দাবীতে মহাসড়কের শাহবাজপুর বাজার এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন দলীয় ও স্থানীয় লোকজন। পুলিশ, আহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, গত রোববার রাতে শাহবাজপুর বাঘা চান মিয়ার বাজারের মেলায় নাগরদোলায় ওঠানামা নিয়ে শামীমের সাথে সোহাগের বাকবিতন্ডা হয়। পুলিশের সহায়তায় উপস্থিত লোকজন বিষয়টি নিস্পত্তি করে দেন। শামীমের কর্মস্থল কালিকচ্ছ বাজারের একটি স’মিল। গত সোমবার বাদ মাগরিব কাজ শেষ করে বাড়ির উদ্যেশ্যে রওনা দেয় শামীম। ঢাকাণ্ডসিলেট মহাসড়কের পাশে কুট্রাপাড়া মোড় নেমে গাড়ির অপেক্ষা করছিল। এ সময় সোহাগের নেতৃত্বে ১০-১২ জন লোক শামীমকে অপহরণ করে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। যথা সময়ে বাড়িতে না পৌঁছায় শামীমের পরিবারের লোকজন চারিদিকে খুঁজতে থাকে। রাত সাড়ে ৭টার দিকে আন্দাজ করে ইউপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক (০১) মো. দেলোয়ার হোসেন ও ১ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি মো. তাজুল ইসলামকে নিয়ে সোহাগদের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় হাত পা বেঁধে মাটিতে ফেলে রেখেছে শামীমকে। শামীমকে গুরূতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রƒত জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকরা। রাত বেশী হওয়ায় তাকে জেলা সদরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শাহবাজপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি মো. নূরূল ইসলাম কালন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাঘার মেলার তুচ্ছ বিষয় মিমাংসা হওয়ার পরও এমন বর্বর ঘটনা সত্যই দু:খজনক। আরমান ও তার ছেলেরা আরো কিছু লোক নিয়ে শামীমকে সরাইল থেকে তুলে নিয়ে হাত পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। তাদের বিচার হওয়া উচিত। শাহবাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা এস আই মো. জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা ঘটনায় ব্যবহৃত সিএনজিটি আটক করেছি। তবে চালক পালিয়ে গেছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে সোমবার দিবাগত রাতে দফায় দফায় অভিযান করেছি। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, স্যারের (ওসি) কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় আমরা লিখিত কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন