সরাইলে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে ৩ কি. মি. এলাকা, হুমকির মুখে ৪ গ্রাম
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৪:৪০ অপরাহ্ণ , ৪ জুন ২০২২, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 1 year আগে
সরাইলে মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে ৩ কি. মি. এলাকা, হুমকির মুখে ৪ গ্রাম
এম এ করিম সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতাঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নদীভাঙ্গনের কবলে চাতালমিলসহ শতাধিক বসতঘর বিলীন৷ হয়ে গেছে নদীগর্ভে। নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে কোনো বেরিবাঁধ না থাকায় হুমকির মুখে রয়েছে পানিশ্বর ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ এখানকার ৪ গ্রাম। প্রবল স্রোত আর অতিরিক্ত পানির তোড়ে একের পর এক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতঘরসহ এখানকার চাতালকল গুলো। নদী ভাঙ্গনের কবলে বাস্তহারা লোকজনের মাঝে বিরাজ করছে কেবল হতাশা। সর্বস্ব হারিয়ে এখন তারা দিশেহারা।
সরজমিনে নদীভাঙ্গন এলাকা ঘুরে ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, মেঘনা নদীর তীরবর্তী পানিশ্বর ইউনিয়নের ১৭টি চাতালমিলসহ পালপাড়া, শাখাইতি, দেওবাড়িয়া ও লায়েরহাটি গ্রামের শতাধিক বসতবাড়ি ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে করে বসতবাড়ি ছাড়া হয়ে পরিবার নিয়ে অন্যত্র চলে গেছে কয়েকশত পরিবার ও বেকার হয়ে গেছে চাতালমিলের শ্রমিকরা। মেঘনার তীরের প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকায় আরো শতাধিক পরিবার ও চাতালমিল ভাঙন আতংকে রয়েছে।
অন্যান্য বছরের মত চলতি বছরে বর্ষার শুরুতেই নদীর স্রোত বেড়ে যাওয়ায় এখানে তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এখানকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তফা মিয়া বলেন, কয়েক বছরে নদীর তীরবর্তী ১৭টি চাতালমিলসহ পালপাড়া, শাখাইতি, দেওবাড়িয়া, লায়েরহাটি গ্রামের অনেক বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙন রোধ করতে না পারলে অচিরেই পানিশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়, বাজার ও কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৪টি গ্রাম পুরোপুরি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। নদীর ভাঙন ঠেকানোর জন্য নদীর মাঝামাঝিতে খনন করা এবং নদীর তীর রক্ষার জন্য স্থায়ী বেড়িবাধ নিমার্ণের দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যপারে পানিশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বছর বর্ষার শুরুতেই লায়েরহাটির ৮টি পরিবারের বসতঘর সম্পূর্ণভাবে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সহযোগিতা ও নদী ভাঙন থেকে এলাকা রক্ষা করার জন্য সরাইল উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আবেদন করেছি।
এ ব্যপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, পুরো জেলায় নদী ভাঙন রোধে একটি সমীক্ষা চলছে। পানিশ্বর এলাকায় কিছু করার চেষ্টা করছি।
আপনার মন্তব্য লিখুন