সরাইলে মহিষের আক্রমনে গরুর মৃত্যু, নারী ও শিশুসহ আহত ৩, রোগীর স্বজনদের বিরুদ্ধে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ২:৪৬ অপরাহ্ণ , ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
এম এ করিম সরাইল নিউজ ২৪.কমঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মহিষের আক্রমনে একটি গাভীর মৃত্য হয়েছে। সেই সাথে মহিষের আক্রমনে নারী ও শিশুসহ আহত হয়েছেন ৩ জন। উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামে শুক্রবার সন্ধা সাড়ে ৬ টায় এ ঘটনা ঘটে৷ প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তেরকান্দা গ্রামের আব্দুল হক এর একটি মহিষ বাড়িতে নেওয়ার পথে নুরু মিয়ার একটি গাভীকে আক্রমন করলে ঘটনাস্থলেই গাভীটির মৃত্যু হয়। এ সময় মহিষটি বেপোরায়া হয়ে স্থানীয় লোকজনের উপর আক্রমন করে। মহিষের আকস্মিক আক্রমনে আতহার আলীর স্ত্রী, মেয়ে চৈতি আক্তার(৮) ও দুলাল মিয়ার মেয়ে ফারহানাকে(৫) আক্রমন করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় মহিষটিকে আটকিয়ে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। মহিষের আক্রমনে আহতদের উদ্ধার করে সরাইল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে আশংকাজনক অবস্থায় শিশু চৈতি ও ফারহানাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে আহতদের সরাইল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা না দিয়ে জেলায় প্রেরণ করার অভিযোগে উত্তেজিত রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে হামলা ও ভাংচুর করে । এ সময় কর্তব্যরত ডাক্তারদের সাথে খারাপ ব্যবহারসহ হাসপাতালে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। হসপাতালে হামলা, অফিস ভাংচুর ও কর্তব্যরত চিকিৎসকের উপর আক্রমনের অভিযোগে পরদিন শনিবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রেখে হাসপাতালের ডাক্তার ও কর্মচারীরা ধর্মঘট পালন করে। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বিপাকে পড়তে হয়।
এ ব্যপারে আহত শিশু ফারহানার পিতা দুলাল মিয়া বলেন, মহিষের আক্রমনে আহত আমার মেয়েকে নিয়ে সরাইল হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কোনো প্রাথমিক চিকিৎসা না করে একটি টিকেট দিয়ে আমাকে বলে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে। পরে আমার মেয়েকে নিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে চলে যায়। সেখানে গেলে আমার মেয়েকে একটি স্যালাইন লাগানো হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে আমার মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যপারে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর প্রধান ডাঃ নোমান মিয়া বলেন, চিহ্নিত কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে হামলা ও ভাংচুর করে তান্ডব চালিয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন সকালে প্রতীকী অর্থে চিকিৎসা কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ ছিল। পরে প্রশাসন ও স্থানীয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সহায়তায় চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রয়েছে। হাসপাতালে হামলা ও ভাংচুরের এই ন্যক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি।
আপনার মন্তব্য লিখুন