সরাইলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দী অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষ
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৪:২০ অপরাহ্ণ , ২৪ জুন ২০২২, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 1 year আগে
সরাইলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিবন্দী অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষ
এম এ করিম সরাইল নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশঃ অবনতি হচ্ছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন উপজেলার অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে অরুয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের ৭৫ হাজারের অধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র আঞ্চলিক সরাইল-অরুয়াইল সড়কটি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন এই দুই ইউনিয়নের জনগণ। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক পথে যাতায়াত করতে পারছেন না এখানকার মানুষ। পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন অনেক পরিবার।
অরূয়াইল ও পাকশিমুল ইউনিয়নের জনগণসহ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের নিয়ামতপুর, ধাউরিয়া, চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া, নতুনহাটি তারাখোলা, দেওবাড়িয়া, বড়বুল্লা, নরসিংহপুর, শাহবাজপুর ইউনিয়নের ক্ষমতাপুর ও পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর, বড়ইবাড়িসহ উপজেলার অর্ধ-লক্ষাধিক মানুষ। সেখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষাকার্যক্রম। অনেক এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যার পানি প্রবেশ করায় উপজেলার ক্ষমতাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধাউরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অরূয়াইলের ষোলাকান্দি মহিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুবাজাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাকশিমুলের কালিশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেলিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভূঁইশ্বর পাতারহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চুন্টার লোপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আজবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘাগরাজোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চুন্টা পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রসুলপুর পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও টিঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
এ ব্যপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুল বলেন, উপজেলার ৩শ’ পানিবন্দি পরিবারের জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে অর্থ ও চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই বন্যাকবলিত পরিবারের মাঝে এ সব বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে। প্রয়োজনে সেই বরাদ্দের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করা হবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন