সরাইলে ফারজানা আনোয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শুভ উদ্বোধন
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১২:২৯ পূর্বাহ্ণ , ২৪ নভেম্বর ২০২৩, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
সরাইলে ফারজানা আনোয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শুভ উদ্বোধন
এম এ করিম সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া):
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে “ফারজানা আনোয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার” এর আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বিকালে উপজেলা সদরের গার্লস স্কুল সংলগ্ন পূর্ব পাশে এর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: আনোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে ও একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক গাজী মোহাম্মদ আব্দুল মাজিদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন উক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: জোহেব আল হাসনাঈন।
কুট্টাপাড়া হেলালিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা সোহেল আহমেদের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে বক্তব্য দেন সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আইয়ুব খান, সরাইল উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক তাসলিম উদ্দিন, সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাক্তার শাহাদাত হোসেন ও সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার প্রমুখ। এ সময় বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে একই দিন রাত ৮টা পর্যন্ত রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়।
এ ব্যপারে ফারজানা আনোয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার জোহেব আল হাসনাঈন বলেন, আমার ছোট বেলার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করা। সেবার মানসিকতা নিয়েই আমাদের এ আয়োজন। আমরা তিন ভাই-বোন সকলেই ডাক্তার। আমি গরীবের ডাক্তার হয়ে সাধারণ মানুষের সেবা দিয়ে যাব। ইতিমধ্যেই সেন্টারটিতে চিকিৎসাসেবা ও রোগ নির্নয়ের আধুনিক সকল যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হয়েছে। এ ব্যপারে তিনি সকলের দোয়া কামনা করেন।
ফারজানা আনোয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি মো: আনোয়ার হোসেন মাস্টার বলেন, আমার পিতা কষ্ট করে আমাদের ভাইবোনদের মানুষ করেছেন। আমরা আমাদের সন্তানদের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। তিনি আরও বলেন আমার তিন ছেলে-মেয়ে। তারা সবাই ডাক্তার। আমার বড় ছেলে ডাক্তার হয়ে কানাডা যেতে চেয়েছিল। তখন আমি বলেছি দেশের বাহিরে চলে গেলে আমার চিকিৎসা করবে কে। এলাকার গরীব-দু:খী মানুষের সেবা করার আমার স্বপ্ন পূরণ করবে কে। ছোট ছেলে ডাক্তার হয়ে আর্মিতে আছে। আর আমার বড় ছেলে এলাকায় থেকে এই ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করে এলাকার গরীব-দু:খী মানুষের সেবা করে আমার স্বপ্ন পূরণ করবে। এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের হাত ধরেই এখানে যেন বড় একটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয় এই জন্য তিনি সকলের দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন