সরাইলে নৌকার ভরাডুবি, স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী, চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন ঠাকুর(ঘোড়া), ভাইস-চেয়ারম্যান মো: আবু হানিফ(মাইক) ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম(হাসঁ) নির্বাচিত
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ , ১ এপ্রিল ২০১৯, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে
এম এ করিম সরাইল নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ডেস্ক::
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৯ এর চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ সরাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন ঠাকুর(ঘোড়া), ভাইস-চেয়ারম্যান মো: আবু হানিফ(মাইক) ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম(হাসঁ) নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে বিএনপির অংশ গ্রহন না থাকায় ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুব কম। তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে ৩জন স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় টান টান উত্তেজনা ও তুমুল প্রতিদ্বন্দীতা পূর্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। সকাল ৮টায় ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলে। বিকালে উপজেলা সদরে ঘোড়া ও মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়। পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। উপজেলার ৯ািট ইউনিয়নের ৮৪টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২লাখ ১৪হাজার ৮০ জন। মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ৯৬ হাজার ৭শত ৯৩ ভোট। নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন ছিল। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সার্বক্ষনিক নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন। চেয়ারম্যান পদে ৭জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৬জন ও মহিলা-ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৬জন প্রার্থী এখানে প্রতিদ্বন্দীতা করেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩১হাজার ৪শত ৮৪ভোট পেয়ে ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রফিক উদ্দিন ঠাকুর বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী মোটর সাইকেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মো: শের আলম মিয়া পেয়েছেন ২২হাজার ৭শত ৫৮ ভোট। ১৭ হাজার ৮শত ৬১ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সদ্য পদত্যাগকারী বিএনপি নেতা এডভোকেট নুরুজ্জামান লস্কর তপু। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো: শফিকুর রহমান শাফি ১৩ হাজার ২ শত ৭৩ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। ৫ হাজার ৫শত ৪৫ ভোট পেয়ে চিংড়ী প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট মুখলেছুর রহমান পঞ্চম হয়েছেন। কাপ-পিরিচ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১হাজার ২শত ৩৬ ভোট ও ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত প্রার্থী কাজী জাকির হোসেন মিনার প্রতীকে পেয়েছেন ৩শত ৭২ ভোট। এদিকে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মাইক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: আবু হানিফ ২২হাজার ৩শত ৭০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী চশমা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: জামাল ২১ হাজার ৬ শত ৭১ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ২৮ হাজার ৫শত ৫৩ ভোট পেয়ে হাসঁ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেত্রী রোকেয়া বেগম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ফুটবল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রাথী আছমা বেগম ১৯ হাজার ৫শত ৭৫ ভোট পেয়েছেন। আওয়ামী লীগ দলীয় একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভীড়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিশাল ভরাডুবি হয়েছে। এতে করে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে মিশ্্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নৌকা প্রতীকের বিশাল পরাজয়কে কোনোভাবেই মানতে পারছেন না এখানকার আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী। তবে তৃনমূল থেকে বেড়ে উঠা ও মাঠে-ময়দানে নেতা-কর্মীদের পাশে থাকা অওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের নৌকা প্রতীক না দেওয়ায় বিক্ষুদ্ধ অনেক নেতা-কর্মী নৌকার এই পরাজয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন