সরাইলে নিখোঁজের ২৭দিন পর যুবকের লাশ উদ্ধার, দাফনের ৯দিন পর নারায়নগঞ্জে জীবিত উদ্ধার!
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ , ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে
এম এ করিম সরাইল নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আসাদুল্লাহ (৩৮) নামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়ার ২৭দিন পর তার লাশ উদ্ধার করে দাফনকার্য সম্পন্ন করা হয়।
দাফনের ৯দিন পর শুক্রবার(১৪সেপ্টেম্বর) সকালে নারায়নগঞ্জের সোনারগাওঁ পুলিশ সেই আসাদুল্লাহকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। মৃত ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধারের বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উদ্ধারকৃত আসাদুল্লাহ উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের অরুয়াইল গ্রামের আলী আকবরের ছেলে। জানা যায়, অরুয়াইল গ্রামে একটি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আসাদুল্লার সাথে একই ইউনিয়নের ধামাউরা গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে সফিক মিয়াসহ স্থানীয় কয়েকজনের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে সফিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা করেছিলেন আসাদুল্লাহ। এ ব্যপারে গত ৫ আগস্ট সফিকের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন আসাদুল্লাহ। এরপর ৯ আগস্ট নিখোঁজ হন আসাদুল্লাহ। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজা-খুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে গত ৬সেপ্টেম্বর সরাইল উপজেলার চুন্টা গ্রামের একটি বিল থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির অর্ধ-গলিত মরদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। নিখোঁজ আসাদুল্লার শারীরিক গঠনের সাথে উদ্ধার হওয়া মরদেহের মিল থাকায় তার পরিবারের লোকজন লাশটি আসাদুল্লাহর মৃতদেহ বলে শনাক্ত করে ওই মরদেহটি এলাকায় নিয়ে দাফন করেন। এ ঘটনার পরদিন ৭ সেপ্টেম্বর আসাদুল্লাহ এর মেয়ে মোমেনা বেগম বাদী হয়ে সফিক মিয়াকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মো: মফিজ উদ্দিন ভূইঁয়া বলেন উদ্ধার হওয়া মরদেহ দেখে আসাদুল্লার পরিবার শনাক্ত করে যে এটি তারই মরদেহ। তারপরও মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। তিনি আরও জানান আসাদুল্লাহকে সোনারগাঁও পুলিশ উদ্বার করার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে সরাইল থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শনিবার সকালে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করে জবানবন্দী শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন