২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

EN

সরাইলে ইকরাম হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষাভ মিছিল

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৫:২০ অপরাহ্ণ , ১৬ আগস্ট ২০১৯, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে

FB_IMG_1565951467553

এম এ করিম সরাইল নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ডেস্কঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। ইকরাম হত্যার বিচারের দাবিতে আজ শুক্রবার(১৬আগস্ট) সকাল ১০টায় উপজেলার কালিকচ্ছ এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। পরে মানববন্ধনকারীরা সরাইল উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরাইল থানায় উপস্থিত হয়ে ইকরাম হত্যাকারীদের বিচারের দাবি জানান। উল্লেখ্য গত রোববার(১১আগস্ট) সকালে উপজেলার কালিকচ্ছ বারজীবিপাড়ায় খালাত বোনের বাড়ির খাটের নিচ থেকে একই এলাকার শহিদুল ইসলামের পুত্র ও সরাইল সরকারি কলেজের ছাত্র ইকরামের(১৬) বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছেন পুলিশ। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা শহিদুল ইসলাম সরাইল থানায় ৫জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন । এ মামলার ৫জন আসামীর মধ্যে প্রথমে সাবেক মেম্বার নাজিম উদ্দিন ও তার ছোট বোন স্কুল শিক্ষিকা নাজমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন পুলিশ । পরে সরাইল সদর উপজেলার বড্ডাপাড়া গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে ইমরানুল হাসান সাদী(১৯)কেও আটক করে সরাইল থানা পুলিশ। গত বুধবার (১৪ আগষ্ট) জেলার বিজয়নগর উপজেলার মনতলা থেকে হত্যা মামলার প্রধান আসামী শিমুল(২৮)ও তার ছোট ভাই সোহাগকে আটক করে র‌্যাব-১৪ । গত সোমবার(১২ আগষ্ট) জুডিশিয়াল আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয় সাদী। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ইকরামকে খুন করে শিমুল, সাদী ও সোহাগ এই তিনজন। নিহত ইকরামের সম্পর্কে ভাগিনা সাদী ইকরামের পা চেপে ধরে রাখে আর সোহাগ দুই হাত চেপে ধরে রাখে তখন শিমুল ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ইকরামের মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে তারা লাশটি বস্তাবন্দি করে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ভোর হয়ে যাওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। এদিকে স্কুল শিক্ষিকা নাজমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথমে আটক করা হলেও পরে এই হত্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তবে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই হত্যাকান্ডের প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্থির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

September 2023
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930  
আরও পড়ুন