সরাইলে চেয়ারম্যানের বিরোদ্ধে ভূয়াঁ প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্বসাৎ এর অভিযোগ
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৫:০২ অপরাহ্ণ , ৫ জুলাই ২০১৮, বৃহস্পতিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগেএম এ করিম সরাইল নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ভূয়াঁ প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্বসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের বিরোদ্ধে দুর্ণীতি দমন কমিশন কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন একই এলাকার বাসিন্দা মরহুম নূরুল হকের পুত্র মো: আবু সায়েম আওয়াল। লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ৮/১১/২০১৭তারিখে পাকশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াশ ব্লক নির্মাণ দেখিয়ে ১লক্ষ ১০হাজার টাকা, ২৪/১১/২০১৭তারিখে একই নামে প্রকল্প দিয়ে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর ফি এর ১% অর্থের ১লক্ষ টাকা ও একই তারিখে বিদ্যালয়টির মাঠে মাটি ভরাট দেখিয়ে প্রকল্প কমিটির মাধ্যমে ২ লক্ষ ৩৮হাজার ২শত ৪০টাকা উত্তোলন করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। রাজস্ব তহবিলের অর্থ দ্বারা এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে বিধি-নিষেধ থাকলেও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে একই প্রকল্পে একাধিকবার অর্থ উত্তোলন করেছেন তিনি। এছাড়া অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর অর্থায়নে পাকশিমুল হাইস্কুল থেকে মেঘাল পর্যন্ত রাস্তার মেরামত দেখিয়ে ৫লক্ষ ৬০হাজার টাকা, পাকশিমুল ডিসি রোড হইতে জাহের আলী বাড়ি পর্যন্ত ইট সলিং দেখিয়ে ১লক্ষ টাকা, পরমানন্দপুর খেলার মাঠের দক্ষিণ পার্শে ৮০হাজার টাকার একটি রিটার্নিং ওয়াল নির্মাণ কাজ দেখিয়ে স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর এর ১% অর্থে ২লক্ষ টাকা, পরমানন্দপুর রশিদ মিয়ার সেচ পাম্পের সেচ ড্রেইন নির্মাণ দেখিয়ে ২লক্ষ টাকা, জয়ধরকান্দি বাজারে ইট সলিং প্রকল্প দেখিয়ে ১লক্ষ ২০হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্বসাৎ করেন কিন্তু বাস্তবে কোনো কাজ করেননি। এ ছাড়া তেলিকান্দি ও জয়ধরকান্দি এলাকার শতাধিক পরিবার থেকে শতক প্রতি ৩হাজার টাকা করে নিয়ে সরকারিভাবে তিতাস নদীতে চলমান খনন কাজের মাঠি নদীর দুই পাশে না ফেলে অর্থের বিনিময়ে দূর-দূরান্তে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্বসাৎ করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগে উল্লেখিত সকল বিষয়ে সরজমিনে তদন্ত পূর্বক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুদুক বরাবর লিখিত অভিযোগের বিষয়টি টের পেয়ে কিছু কিছু প্রকল্পে সম্প্রতি নতুন করে কিছু কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান । এ ব্যাপারে মুঠোফোনে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরোদ্ধে লিখিত অভিযোগের বিষয়ে আমি অবগত নয়। তবে আপনার মাধ্যমে এখন জানতে পারলাম। এ ব্যাপারে আমি খোঁজ-খবর নেব। তবে আমার বিরোদ্ধে ভূয়াঁ প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্বসাৎ এর যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সত্য নয়। এদিকে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায়(পোর্টালে) এ ব্যপারে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সংবাদ প্রকাশের ২/৩ দিন পর নড়ে চড়ে বসেন অভিযোগকারী মো: আবু সায়েম আওয়াল। ৮জুলাই(রোববার) দুপুরে মুঠোফোনে তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগে আমি স্বাক্ষর করেছি তবে আমি লিখি নাই। পাকশিমুল এলাকায় স্থানীয়ভাবে আমি ব্যবসা করি। আমি এই অভিযোগ এখন উড্র করে নিয়েছি। এদিকে দুদুক বরাবর লিখিত অভিযোগ করার কয়েকদিন কর অভিযোগ উড্র করার বিষয়টি রহস্যজনক মনে করে অনেকেই এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট সুষ্টু তদন্ত দাবি করেছেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন