১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

সরাইলে ইউপি উপ-নির্বাচনে সাংবাদিকদের পর্যবেক্ষণ কার্ড নিয়ে তেলেসমতি

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ , ২১ অক্টোবর ২০২০, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগে

স্টাফ রিপোর্টার:

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হল সরাইলের চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচন। নির্বাচনে গণমাধ্যম কর্মীদের পর্যবেক্ষণ কার্ড প্রদানে হয়ে গেল নানা তেলেসমতি। কার্ডের শিরোনামে জেলা পরিষদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ ছাড়া রয়েছে সালেরও ভিন্নতা। এক প্রতিষ্ঠানের কার্ড ইস্যু করেছেন আরেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির নামে। দায়িত্বশীল কর্মকর্তার উদাসীনতা নিয়ে চলছে নানামূখী সমালোচনা।
নির্বাচন অফিস ও গণমাধ্যম কর্মী সূত্রে জানা যায়, গতকালের নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুব আলম। জেলা উপজেলার ৩৪ জনকে দেয়া হয়েছে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের কার্ড। এ কার্ড পেতে গিয়ে তাদেরকে হয়রানি হতে হয়েছে। নানা নিয়ম নীতি অজুহাতে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গণমাধ্যম কর্মীদের ঘুরিয়েছেন দিন রাত। মাঝে মধ্যে উচ্চ বাচ্য ও কর্কশ ভাষা ব্যবহারের অভিযোগও পাওয়া গেছে। তিনি নিজেকে খুবই স্বচ্ছ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তা দাবী করলেও শেষের দিকে এক প্রতিষ্ঠানের কার্ড আরেক প্রতিষ্ঠানের নামে ইস্যু করে নানা সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। এটি ইউপি নির্বাচন। অথচ ইস্যুকৃত প্রত্যেকটি পর্যবেক্ষণ কার্ডের শিরোনামে লিখা রয়েছে জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৬। কোনটিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৯। আবার কোনটিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০১৬। তিনি বিনা কারণে দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি সৈয়দ কামরুজ্জামান ইউসুফ ও দৈনিক ইত্তেফাকের সরাইল সংবাদদাতা মো. জুলকার নাঈনকে গত সোমবার দিনভর ঘুরিয়ে অবশেষে কার্ড পাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। গতকাল নির্বাচন শুরুর দুই ঘন্টা পর ডেকে নিয়ে তিনি ওই দুইজনকে প্রদান করেছেন পর্যবেক্ষণ কার্ড। এখানেও ঘটিয়েছেন তেলেসমতি কান্ড। দৈনিক সংবাদের সরাইল প্রতিনিধি সৈয়দ কামরুজ্জামান ইউসুফের কার্ডে লিখেছেন ‘দৈনিক সকালের সংবাদ’। অথচ মেয়াদ না থাকার অজুহাতে আগের দিন ফিরিয়ে দিয়েছেন দৈনিক সকালের সংবাদ পত্রিকার সরাইল প্রতিনিধি দীপক কুমার দেবনাথকে। মেয়াদ উত্তীর্ণ আইডি কার্ডের পত্রিকার নামে তিনি কিভাবে পর্যবেক্ষণ কার্ড ইস্যু করলেন? এসব প্রশ্ন এখন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের। একাধিক গণমাধ্যম কর্মীর বক্তব্য হচ্ছে পর্যবেক্ষণ কার্ড প্রদানে ওঁর তেলেসমতি দেখে মনে হচ্ছে কোন বলয়ের ইশারায় চলছেন। অথবা কোন নীল নকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। তিনি দায়িত্বশীল নয়। উদাসীন। দৈনিক সকালের সংবাদ সরাইল প্রতিনিধি দীপক কুমার দেবনাথ বলেন, মেয়াদ নেই বলে আমাকে সমগ্র দিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দিলেন। পরে আরেকজনকে আমার পত্রিকার নাম লিখে কার্ড দিলেন কিভাবে? এখন কি মেয়াদ বেড়ে গেছে? ওঁর এহেন কর্মকান্ড সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুব আলম মুঠোফোনে বলেন, কার্ড উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তাই না? ম্যাজিষ্ট্রেট বা কর্তব্যরত কেউ কিছু বলেছেন? বলার কথা না। এটা বাই ইলেকশন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের কোন কার্ড নেই। এতে কোন ব্যত্যয় হবে না। আমার স্বাক্ষর থাকলেই হলো। এক প্রতিষ্ঠানের নাম আরেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির নামে ইস্যু করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংবাদ পত্রিকার আইডি কার্ড দেখে পর্যবেক্ষণ কার্ড লিখেছি। আমি তো লিখিনি। আমি আবেদন দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে লিখে দিয়েছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
আরও পড়ুন