সরাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি মেম্বার রকেট হত্যা মামলায় ১৭ জন আসামী গ্রেফতার
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৭:২৫ অপরাহ্ণ , ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 years আগে
সরাইল নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ডেস্কঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য আবু বকর সিদ্দিক প্রকাশ রকেট হত্যা মামলায় ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে সরাইল থানা পুলিশ। ঘটনার পর থেকে টানা ১০ দিন পর ফরিদপুর জেলার সদর এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। এর আগে ৬ জন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সরাইল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাহাদাত হোসেন টিটো’র পরিকল্পনায় ওসি তদন্ত মোঃ নুরুল হক, এসআই গৌতম চন্দ্র দে, এ এস আই আলা উদ্দিন ও এ এস আই বিকাশ সিংহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলার সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যামামলার এজহারভুক্ত ১১ জন আসামীকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন সরাইল সদরের বেপারিপাড়ার মৃত ধনু বেপারির ছেলে আরমান মিয়া, স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহ আলম মিয়া, আজমান মিয়া, আরমান মিয়ার ছেলে রিয়াদ মিয়া ও হৃদয় মিয়া, আজমান মিয়ার ছেলে ফরহাদ মিয়া ও রাশেদ মিয়া, মৃত রমজান মিয়ার ছেলে আনার মিয়া, নাজু মিয়ার ছেলে ওসমান গনি ওরফে রোপম, আজমান মিয়ার ছেলে জয় ও কাছন মিয়ার ছেলে হ্নদয়। ইতিপূর্বে ঘটনার ৩৬ ঘন্টা পর পুলিশের অভিযানে গ্রেফতারকৃতরা হলেন নান্নু মিয়া, কাচু মিয়া, রিকসন মিয়া, আকরাম মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও হামীম মিয়া। এ ব্যপারে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, আমরা ইতিমধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ১৬ জন ও এজাহারের বাইরে একজনসহ মোট ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছি। আমরা সরাইল বাসীকে আশ্বস্থ্য করেছিলাম, আমরা এই হত্যাকাণ্ডকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখছি। অভিযুক্ত কেউ রেহাই পাবে না। তিনি আরো বলেন, আপনারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। আইন আইনের গতিতে চলবে। আমরা এর আগে এ ঘটনার সাথে জড়িত ছয়জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছি । তাদের মধ্যে একজন এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছে এবং এ হত্যাকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুলিশকে জানিয়েছে। ইনশাআল্লাহ বাকিদের দ্রুত গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে। উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা সদরের প্রাতঃবাজারে একটি রেস্টুরেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একদল অস্ত্রধারী পর পর দু’টি হাত বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ও অতর্কিতভাবে রকেট মেম্বারের ওপর এলোপাতারি হামলা চালিয়ে কুপিয়ে তাঁর একটি হাত ও পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পর দিন শুক্রবার(১৪ফেব্রুয়ারী) নিহতের পুত্র শাহনেওয়াজ বাদী হয়ে ২২জনের নামে ও অজ্ঞাত ৫/৬জনকে আসামী করে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ পর্যন্ত ১৭জনকে গ্রেফতার করেছেন। বাকীদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানা গেছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন