সরাইলের খালেদ সাইফুল্লাহ দাখিল পরীক্ষা-২০১৭ এ পুন:নিরীক্ষনে ১(এক) নম্বরের জন্য ফেল!!!
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১২:৪২ অপরাহ্ণ , ১৪ জুন ২০১৭, বুধবার , পোষ্ট করা হয়েছে 6 years আগেএম এ করিম সরাইল নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড্ডাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং সরাইল রাহমাতুল্লিল আলামিন দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র মো: খালেদ সাইফুল্লাহ বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা এর অধীনে ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে ইসলামিক ইতিহাস বিষয়ে ১(এক) নম্বরের জন্য ফেল করেছেন। শিক্ষাবোর্ড প্রদত্ত প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড অনুযায়ী তার পরীক্ষার রোল নং ২৭৩০০৬, রেজি: নং:১৪১৮৬৭২৩৫৬ সেশন: ২০১৫-২০১৬ বিভাগ: সাধারণ। তার পিতার নাম: ইরন খাঁ, মাতা: নেহেরা বেগম । জন্মতারিখ: ১০/১০/২০০০ । দাখিল পরীক্ষা ভালভাবে দেওয়া সত্বেও এই ফলাফল কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না মো: খালেদ সাইফুল্লাহসহ তার পরিবার। পরবর্তীতে বিধি অনুযায়ী অনেক আশা নিয়ে ফলাফল পুন:নিরীক্ষনের জন্য শিক্ষাবোর্ডে আবেদন করে চূড়ান্ত ফলাফলেও ১(এক) নম্বরের জন্য ফেল আসে। জানা যায় , শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, ১০০নম্বরের প্রতিটি বিষয় তত্বীয়:৭০নম্বর এবং নৈর্ব্যক্তিক: ৩০নম্বরের পরীক্ষায় অংশ করে শিক্ষার্থীদের তত্বীয় অংশে ২৩ এবং নৈর্ব্যক্তিক অংশে ১০ পেয়ে পাস করতে হয়। মো: খালেদ সাইফুল্লাহ বিধি অনুযায়ী সকল বিষয়ে তত্বীয় ও নৈর্ব্যক্তিক উভয় অংশে আলাদা পাশ করলেও ইসলামিক ইতিহাস বিষয়ে তত্বীয় অংশে পাস নম্বর ২৩ থেকে ১ নম্বর কম পেয়ে ২২নম্বর পেয়েছে এবং নৈর্ব্যক্তিক অংশে পাস নম্বর ১০ পেয়েছে। ইসলামিক ইতিহাস বিষয়ে ভাল পরীক্ষা দেওয়ার আত্ববিশ্বাসে তত্বীয় অংশে পাস নম্বর পাওয়ার প্রত্যয়ে বিধি অনুযায়ী পুন: নিরীক্ষনের আবেদন করে অধীর আগ্রহে ফলাফলের প্রতীক্ষা করে। কিন্তু পুন: নিরীক্ষনের ফলাফলেও ১(এক) তত্বীয় অংশে ১(এক) নম্বরের জন্য ফেল আসায় মো: খালেদ সাইফুল্লাহসহ হতাশ তার পুরো পরিবার। জীবন সংগ্রামে পিছিয়ে পড়া মো: খালেদ সাইফুল্লাহর পড়ালেখা এখন বন্ধের পথে। প্রশ্ন উঠেছে আদৌকি খাতা সঠিকভাবে পুন: নিরীক্ষন করা হয়েছে? মো: খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, আমি ইসলামিক ইতিহাস বিষয়ে অনেক ভাল পরীক্ষা দিয়েছি। ১(এক) নম্বরের জন্য ফেল করার প্রশ্নই আসে না। কিন্তু খাতা পুন: নিরীক্ষনের আবেদন করেও কোনো ফলাফল পায়নি। আমার বিষয়টি মানবিক বিবেচনার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আপনার মন্তব্য লিখুন