ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ উপনির্বাচনে ভোট দেননি ৭৩.২৬ ভাগ ভোটার, জামানত হারালেন ৩ প্রার্থী
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১:২৪ অপরাহ্ণ , ৬ নভেম্বর ২০২৩, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 4 weeks আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ উপনির্বাচনে ভোট দেননি ৭৩.২৬ ভাগ ভোটার, জামানত হারালেন ৩ প্রার্থী
এম এ করিম সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২ আসনের উপনির্বাচনে মোট ভোটারের ২৬.৭৪ ভাগ ভোটার ভোট প্রদান করলেও ভোট দেননি ৭৩.২৬ ভাগ ভোটার। প্রতিদ্বন্দী ৫জন প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন ৩জন প্রার্থী।
রিটার্নিং অফিসার স্বাক্ষরিত নির্বাচনের ফলাফল থেকে জানা যায়, উপনির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ১০ হাজার ৭২ জন। নির্বাচনে ভোট প্রদান করেছেন <span;>১ লক্ষ ৯ হাজার ৬৬৫ জন। এদের মধ্যে বৈধ ভোটারের সংখ্যা ১লক্ষ ৮ হাজার ৩৫৭ জন এবং বাতিলকৃত ভোটারের সংখ্যা ১হাজার ৩০৮ জন।
প্রতিদ্বন্দী ৫জন প্রার্থীর মধ্যে ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো: শাহজাহান আলম সাজু। মোট ভোটারের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ১৬.১৭ ভাগ ভোট।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দী কলার ছড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৫৭ ভোট। তিনি পেয়েছেন মোট ভোটারের ৯.১৬ ভাগ ভোট। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো: আব্দুল হামিদ লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৮৬ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো: রাজ্জাক হোসেন আম প্রতীকে পেয়েছেন ৭শত ২৯ভোট এবং জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম (জুয়েল) গোলাপফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৫ শত ৬১ ভোট।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পেলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। এ হিসেবে প্রতিদ্বন্দী ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো: আব্দুল হামিদ, আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো: রাজ্জাক হোসেন এবং গোলাপফুল প্রতীকে জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম (জুয়েল)।
রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত এ আসনে টানা ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। সরাইল উপজেলার ৯টি ও আশুগঞ্জ উপজেলার ৮টিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ১৩২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুবই কম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের ৬ বারের সাবেক এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার মৃত্যুতে এ আসনটি শূণ্য হয়। শূন্য এ আসনটির উপনির্বাচন স্বল্প মেয়াদে ও বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসনে বিএনপি দলীয় কোনো প্রার্থী বা বিএনপি সমর্থিত কোনো প্রার্থী না থাকায় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে অধিকাংশ ভোটারদের মাঝে তেমন কোনো আগ্রহ ছিল না বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী।
আপনার মন্তব্য লিখুন