ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনঃ স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক এমপি এড. জিয়াউল হক মৃধা
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৭:১০ অপরাহ্ণ , ১০ অক্টোবর ২০২৩, মঙ্গলবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 months আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনঃ স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক এমপি এড. জিয়াউল হক মৃধা
এম এ করিম সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন মহাজোট থেকে নির্বাচিত সাবেক দুইবারের এমপি এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা। রোববার (৮ অক্টোবর) তিনি নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। বুধবার (১১ অক্টোবর) মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে তিনি মনোনয়ন পত্র দাখিল করবেন বলে কথা রয়েছে।
এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়পার্টির আহবায়ক ও জাতীয় পার্টির (রওশন এরশাদ পন্থী) সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে রওশনপন্থী কমিটির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে প্রতীক পাওয়ার পরও নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে জিএম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। রওশনপন্থীরা সম্মেলনে গত বছর ২৬ নভেম্বর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা দিয়ে প্রস্তুতি কমিটি গঠন করে। সেই কমিটিতে জিয়াউল হক মৃধা সদস্য থাকায় গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে জিএম কাদের তাকে অব্যাহতি প্রদান করেন। গত ফেব্রুয়ারিতে উপনির্বাচনে প্রয়াত সাবেক এমপি উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার সাথে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। নির্বাচন কমিশন থেকে তাকে ‘আপেল’ প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হয়। প্রতীক পাওয়ার পর উপনির্বাচনের ১২ দিন আগে জিয়াউল হক মৃধা ঘোষণা দিয়ে স্বেচ্ছায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
এ ব্যপারে সাবেক এমপি এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বলেন, জনগণ চাচ্ছে তাই আমাকে নির্বাচনে যেতে হচ্ছে। আমি তো জাতীয় পার্টির রওশন গ্রুপের। আগামী নভেম্বরে আমাদের সম্মেলন হওয়ার কথা। তাই আমাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে হবে।
উলেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ৬ বার এমপি ছিলেন। এছাড়াও একবার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যুতে গত মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) আসনটি শূন্য ঘোষণা করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী ৫ নভেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
আপনার মন্তব্য লিখুন