বিবিএসএস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে সাইকেল র্যালি ও প্রতিবাদ সভা
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৩:৩৫ অপরাহ্ণ , ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
বিবিএসএস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে সাইকেল র্যালি ও প্রতিবাদ সভা
স্টাফ রিপোর্টারঃ
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে নৃশংসতার প্রতিবাদে বিবিএসএস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে সাইকেল র্যালি ও প্রতিবাদ সভা পালন করা হয়েছে।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর গুলশানের নিকুঞ্জ (পুলিশ প্লাজা) থেকে গুলশান ২ ও ইউনাইটেড হসপিটাল হয়ে এই কর্মসূচি পুলিশ প্লাজায় এসে শেষ করা হয়।র্যালীশেষে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি নৃসংশতার চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
র্যালি শেষে প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তৌফিক আহমেদ তফছির। উক্ত কর্মসূচিতে সংগঠনের মহসচিব ও গাজী টিভির প্রযোজক শফিকুল ইসলামের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন মাদার জান্নাত ফাউনইেশনের চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস,জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এমদাদুল হক ছালেক, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ ,বিশিষ্ট সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান, সোস্যাল এক্টিভিস্ট হাফিজ শম্ভু, সংগঠক এম এইস মিল্টন, ছাত্রনেতা সুকান্ত ভট্টাচার্য প্রমুখ।
সভাপতির সমাপনী বক্তৃতায় তৌফিক আহমেদ তফছির বলেন, ১৯৪৭ এ ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পর পাকিস্তান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে মায়ের ভাষার বিরুদ্বে অবস্থান নিয়ে তাদের স্বৈরাচারী আচরণ শুরু করে। তৎপরবর্তিতে এদেশে ব্যাপক গণবিক্ষোভ শুরু হলে তারা বল প্রয়োগের পথ বেছে নেয়। বাঙ্গালীর আন্দোলন আরো বেগবান হলে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাস্তায় প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণ শুরু করে। আর এতে করে তখনি সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার ও সফিউল শহিদ হন। আহত হন অসংখ্য নিরীহ মানুষ। কিন্তু তারপরও দমাতে পারেনি বাঙ্গালীর সেই আন্দোলনকে। বাঙ্গালী বিজয়ী হয়। রাষ্ট্রভাষা বাংলা স্বীকৃতি পায়। আজ আমাদের সেই দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে। যা জাতি হিসেবে আজ আমরা গর্বিত।
অন্যদিকে ভাষা আন্দোলনের বিজয়ের পর ১৯৭১ সালে পাক হায়েনাদের পরাজিত করে চিরদিনের জন্য এদেশ থেকে তাদের আমরা তাদের বিতারিত করি। আর এ পরাজয়ের গ্লানি শোকে তারা এদেশের প্রতি প্রতিনিয়ত প্রতিশোধের নেশায় মেতে রয়েছে । তারই পাশাপাশি তাদের এদেশীয় দোসরদের দ্বারা প্রতিনিয়ত বাঙ্গালীর ক্ষতি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ৫২থেকে ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হায়নারা নৃশংসভাবে অসংখ্য নিরীহ বাঙালীকে হত্যা করে। আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানায় তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার। কেননা তারা কখনো বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারেনা। সর্বদাই বাঙ্গালীয় অস্থিত্বকে আঘাত করেই যাবে। আমরা পাকিস্তানি হত্যাযজ্ঞের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার দাবী করছি।
আপনার মন্তব্য লিখুন