বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ডের(তিতাস ফিল্ড) প্লান অপারেটর ফয়সাল খন্দকারের মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ১২:০০ অপরাহ্ণ , ২৫ জুন ২০১৭, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 6 years আগে
এম এ করিম সরাইল নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বী খোরশেদ আলম খন্দকারের পুত্র, সরাইল উপজেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম খন্দকার মুন্নার ছোট ভাই, উপজেলা সদরের দেওয়ানবাড়ীর বাসিন্দা বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়া লোকেশন-১ এর প্লান অপারেটর মো: ফয়সাল খন্দকার অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মৃত ফয়সাল খন্দকারের বড় ভাই নাজমুল আলম খন্দকার মুন্না। বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড(তিতাস ফিল্ড) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কনডেনসেট প্রসেসিং বিভাগের ক্লার্ক-১(জে, এস নং-৬৭৯) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা গ্রামের মৃত আলী মোস্তফা খন্দকারের পুত্র আলমগীর সরকারকে প্রধান আসামী করে হত্যা মামলাটি দায়ের করা হয়েছে । আদালতের মামলা নং-০২/১৭ তারিখ: ২৩/০৩/১৭ইং। মামলা সূত্রে জানা যায়, ৫ মে সকালে আলমগীর সরকার গ্যাসফিল্ডের কর্মস্থলে ১টি জগে করে কনডেনসেট (তেল) নিয়ে নেকড়া দিয়ে একটি হিটারের মরিচা পরিস্কার করাকালে নেকরায় আগুন লেগে আলমগীর সরকারের জামায় আগুন ধরে যায়। ওই আগুন আলমগীরের শরীরে ছড়িয়ে যেতে দেখে সহকর্মী ফয়সাল খন্দকার তাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে এসে তাহার পরনের জামা ছিঁড়ে খুলে ফেলে পাশের বাথররুমে পানি আনার জন্য প্রবেশ করে ফয়সাল। আলমগীর তখন আগুনসহ সকল কাপড় ও তেলের জগ ফয়সালকে লক্ষ্য করে বাথররুমের ভেতরে ঢিল দিয়ে নিক্ষেপ করে। এসময় বাথরুমে আগুন ধাউ ধাউ করে জ্বলে ওঠে। আর বাথররুমের দরজাটি বাহিরের দিকে বন্ধ করে দেয় আলমগীর। বাঁচার জন্য চিৎকার করেও শেষ রক্ষা হয়নি ফয়সালের। এক পর্যায়ে ফয়সাল বাথররুমের বেন্টিলেটেড দিয়ে বেরিয়ে আসে। ততক্ষণে শরীরের ২৮ভাগ পুড়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফয়সালকে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০মে রাত আড়াইটায় ফয়সাল খন্দকার মারা যায়। এ ঘটনায় গ্যাসফিল্ড কর্তৃপক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে আলমগীর সরকারকে দায়ী করে সাময়িক বরখাস্থ করেছেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন