২রা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

EN

প্লাস্টিকের বোতলের দিন শেষ!‍

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৪:৫৯ অপরাহ্ণ , ১৫ এপ্রিল ২০১৭, শনিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 6 years আগে

অপকারটা জানেন প্রায় সকলেই। কিন্তু প্রয়োজনের তাগিদে ব্যবহারও করতে হয়। বেড়াতে যাওয়া হোক বা ঘরের কাজে, অফিস হোক বা রাস্তা-ঘাটে প্লাস্টিকের পানির বোতল ছাড়া উপায় কী?
সমীক্ষা বলছে, বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটি টন প্লাস্টিক তৈরি হয় প্রতি বছর। তার মধ্যে ৮৮ লাখ টন প্লাস্টিক সাগরে গিয়ে মেশে। যা সামুদ্রিক প্রাণীর মারাত্মক ক্ষতি করে। ক্ষতি করে বাস্তুতন্ত্রেরও। নষ্ট করে পরিবেশের ভারসাম্যও।
এই ভাবনাটাই তাড়না করছিল তাদের। লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের স্কিপিং রকস ল্যাবে গবেষণা করতে করতেই তাই রড্রিগো গার্সিয়া, পিয়েরি পাসলিয়র আর গুইলামি কৌচে বানিয়ে ফেলল ‘ওহো’। কী এই ‘ওহো’?
রড্রিগো বলেন, “ওহো দেখতে পানির একটা বড় বুদবুদের মতো। প্লাস্টির বোতলের বদলে এই পানির বুদবুদগুলো নিয়েই বেড়নো যাবে রাস্তাঘাটে। পিপাসা পেলে বুদবুদগুলো খেয়ে ফেললেই হলো। এতে একদিকে যেমন দূষণও রোধ হবে, অন্য দিকে শরীরে ক্ষতিকর পদার্থও কম প্রবেশ করবে।”
কী দিয়ে তৈরি হয় এই ‘ওহো’?
হাতে নিলে জেলির মতো নরম। ওহো-তে রয়েছে সোডিয়াম অ্যালগিনেট দিয়ে তৈরি দু’টি পাতলা পর্দা। সামুদ্রিক ব্রাউন অ্যালগি আর ক্যালসিয়াম কার্বোনেট দিয়ে তৈরি হয় এই সোডিয়াম অ্যালগিনেট। এই পাতলা পর্দার মধ্যেই থাকে তরল পানি। সম্পূর্ণ বুদবুদটাকেই জেলিফিকেশন করা হয়। এই সময় পানির মধ্যে এডিবল জেলিং এজেন্টও দেয়া হয়।
পিয়েরি জানালেন, কোথাও গেলে খুব সহজেই সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া যায় এই ‘পানির বুদবুদ’। পিপাসা পেলে পুরোটাই খেয়ে ফেলা যাবে। প্রতি ওহোয় থাকবে ২৫০ মিলিলিটার পানি। পাশাপাশি ওহো তৈরির খরচও খুব কম বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
পিয়েরি পসলিয়রের আশা, খুব শিগগিরই ‘ওহো’ প্লাস্টিক বোতলের বিপুল দূষণের হাত থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে পারবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

October 2023
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  
আরও পড়ুন