তান্ডবের সাথে হেফাজতের কোনো সম্পর্ক নেই : নায়েবে আমীর
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ণ , ৫ এপ্রিল ২০২১, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে
স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিবিরোধী আন্দোলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাংচুর ও তান্ডবের সাথে হেফাজতে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা সাজিদুর রহমান। সোমবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
হেফাজতে ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার প্রতিনিধি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব পরিদর্শনে আসেন। এ সময় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন ক্লাবে ভাঙচুরের বর্ণনা দেন। এরপর ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি তার ওপর চালানো হামলার বিষয়টি হেফাজত ও মাদরাসা নেতৃবৃন্দের কাছে তুলে ধরেন।
তাণ্ডবের ঘটনায় দুঃখ পেয়েছেন উল্লেখ করে হেফাজতের নায়েবে আমির সাজিদুর রহমান বলেন, আমরা খুব দুঃখ পেয়েছি। কত দুঃখ পেয়েছি সেটি প্রকাশ করার ভাষা নেই। ভাঙচুরের জন্য আমাদের কর্মসূচি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ জন্য দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের দাবি জানাই। কিন্তু কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে যেন হয়রানি করা না হয়, আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে আমরা প্রশাসনের কাছে তার দাবি জানাই।
মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, হরতালের দিন আমাদের নেতৃবৃন্দের অবস্থান শুধু মাদরাসার সামনে ছিল। যারা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানানচ্ছি। যারা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ-ভাঙচুর করে, তারা কোনোদিন হেফাজতের হতে পারে না। আমরা সমস্ত ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানাই।
জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদারাসার অধ্যক্ষ মুফতি মুবারক উল্লাহ বলেন, আমার যতটুকু বিশ্বাস-আমাদের কোনো মানুষ এমন কাজ করতে পারেনা। যারা এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে, সেটি তদন্তের মাধ্যমে বের করে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আলী আজম, বোরহার উদ্দিন কাসেমী, নোমান হাবিবী, এনামুল হাসান, মো. জাকারিয়া, তানভীর আহমেদ ও এরশাদুল্লাহ কাসেমী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধীতা করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবেও ভাঙচুর হয় এবং ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির ওপর হামলা চালানো হয়।
আপনার মন্তব্য লিখুন