১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

EN

জাতীয় সংসদে মহিলা এমপির বক্তব্যের প্রতিবাদে সরাইলে সংবাদ সম্মেলন

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ৮:৩৩ অপরাহ্ণ , ১ আগস্ট ২০২২, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে

জাতীয় সংসদে মহিলা এমপির বক্তব্যের প্রতিবাদে সরাইলে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মহান জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসনের(৩১২) এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদের বক্তব্যের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত ২৭ জুন/২০২২ তারিখে জাতীয় সংসদে মহিলা এমপির দেওয়া বক্তব্য মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে উল্লেখ করে এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজ সোমবার (১ আগস্ট) সকাল ১১ টায় সরাইল উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ ইসমত আলী’ এর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিক উদ্দিন ঠাকুর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাহফুজ আলী ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফেজুল আসাদ সিজার প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে সরাইল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে মাননীয় মহিলা সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ যে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছে আমরা তার উপর তীব্র নিন্দা ও আপত্তি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহত ইকবাল আজাদের বাবা মৃত আব্দুল খালেক হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করে বিরাট অর্থ সম্পদের মালিক হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় যত বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে সবই তার ইশারায় । দেশ স্বাধীনের পর তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম কুশিলব তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে একটি টয়োটা গাড়ি উপহার দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আত্মপ্রকাশ করেন। তাহের উদ্দিন ঠাকুর কে ব্যবহার করে সরাইলের মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী নেতা-কর্মীদের নির্যাতন নিপীড়ন শুরু করেন। ১৯৭৪ সালে অজ্ঞাত আততায়ীর হাতে তিনি নিহত হন। তিনি যদি মৃত্যুবরণ না করতেন তাহলে তাহের উদ্দিন ঠাকুরের সাথে তিনিও বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে আসামি হতেন।
তিনি আরও বলেন, ইকবাল আজাদের বড় ভাই হুমায়ুন আজাদ কসবা উপজেলার তন্তর এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। ইকবাল আজাদের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আজাদ শিউলি আজাদের নির্যাতনে মৃত্যু বরণ করেন। আর মাননীয় সংসদ সদস্য মহান জাতীয় সংসদে মিথ্যাচার করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি মহিলা সংসদ সদস্যকে উদ্যেশ্য করে আরও বলেন, আপনি আপনার স্বামীর প্রকৃত খুনীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনেন। আমরাও চাই ইকবাল আজাদের খুনের বিচার হউক।
একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ইকবাল আজাদের খুনের মামলার আসামিরা কেউ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে পারবে না। কোন সাংগঠনিক কার্যক্রমে তাদের ডাকা যাবে না। গঠন তন্ত্র বা সংবিধানের কোথাও বলা নাই যে মামলা থাকলে রাজনীতি করা যাবে না।
আদালতে যতদিন পর্যন্ত অপরাধী প্রমানিত না হয়, ততদিন পর্যন্ত কাউকে অপরাধী বলা যাবে না। মামলা হলেই যে রাজনীতি করা যাবে না কোন সংবিধানে আছে এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি, আমাদের নামে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হউক। মহান জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে দেয়া মিথ্যা বানোয়াট বক্তব্য প্রত্যাহার করা হউক।

উল্লেখ্যে ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর সন্ধায় সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সিনিয়র সহসভাপতি ও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ এর স্বামী এ কে এম ইকবাল আজাদ খুন হন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

July 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
আরও পড়ুন