কারা নির্যাতিত দুই নেতার নেতৃত্বে গঠিত সরাইল উপজেলা ছাত্রদল নিয়ে চলছে বিতর্ক, এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন নেতৃবৃন্দ
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৫:১০ অপরাহ্ণ , ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, রবিবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
এম এ করিম সরাইল নিউজ ২৪. কমঃ
সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের অরুয়াইল ইউনিয়ন শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কারা নির্যাতিত নেতা এম রিফাত বিন জিয়াকে আহবায়ক ও উপজেলার চুন্টা ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কারানির্যাতিত নেতা আমান উল্লাহ আমানকে সদস্য সচিব করে গত বুধবার(২৪ফেব্রুয়ারী) ২১ সদস্য বিশিষ্ট সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
কমিটি ঘোষনার দিনগত রাতে ছাত্রদলের একাংশের নেতা-কর্মীরা উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়কে কমিটি গঠনে নানা অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক প্রার্থী ও সরাইল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আলম খন্দকার রিগ্যান ও উপজেলা ছাত্রদলের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাকিমুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করে পরদিন আদালতে প্রেরণ করেন। একই দিন তাঁরা বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে ছাড়া পান।
অভিযোগ উঠে সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এম রিফাত বিন জিয়া বিবাহিত, অছাত্র ও মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। অন্যদিকে সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান অছাত্র। একই সাথে নবগঠিত উপজেলা ছাত্রদলের ২১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি থেকে ১৪ জন পদত্যাগ করেছে বলে বিভিন্ন গণ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এ ব্যপারে সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান বলেন, সরাইল উপজেলা ছাত্রদল চুন্টা ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিগত উপজেলা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সাথে রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে গেছি। আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে মামলা হামলার শিকার হয়ে কারা বরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনার প্রায় এক বছর সময় যাচাই বাছাই করে আমাকে সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। কিন্তু একটি বিশেষ মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবি পড়ছেন দাবি করে তিনি বলেন, ছাত্রদলকে যারা স্ব অবয়বে দেখতে চায় না তারাই অপপ্রচার চালাচ্ছেন। অপপ্রচার চালিয়ে ছাত্রদলের অব্যাহত কার্যক্রমকে দমিয়ে রাখা যাবে না।
এ ব্যপারে নবগঠিত সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এম রিফাত বিন জিয়া বলেন সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উপজেলা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে রাজপথে থেকে কেন্দ্র ঘোষিত সকল আন্দোলন সংগ্রাম করে এসেছি। সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে মামলা হামলার শিকার হয়েছি। কারাবরণ করেছি।তিনি আরও বলেন, আমার প্রতিটি ধমনীতে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের আদর্শের রক্ত প্রবাহিত। ১৯৭৯ সাল থেকে আমার বাবা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় একাধিক বার জেল খেটেছেন। মায়ের আওয়ামী লীগের রাজনীতি আমরা কখনো মেনে নিতে পারিনি। তিনি আমার জন্মদাতা মা এর চেয়ে বেশীতো কিছু বলতে পারিনা। অপরদিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমার আদর্শিক মা, জিয়া পরিবারই আমার পরিবার। আমিতো মনে প্রাণে জাতীয়তাবাদী আদর্শ লালন করি। তিনি বলেন, তারা আমাদেরকে আদর্শিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে এখন আমি বিবাহিত বলে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। পদত্যাগ পত্র প্রকাশ করা ব্যতিত কমিটির ১৪ জনের পদত্যাগের বিষয়টি মিথ্যা ও হাস্যকর বলে দাবি করে তিনি বলেন সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে সকলের সহযোগিতায় নবগঠিত সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাব ইনশাল্লাহ।
উল্লেখ্য এম রিফাত বিন জিয়াকে আহবায়ক ও মোঃ আমান উল্লাহকে সদস্য সচিব করে ২১সদস্য বিশিষ্ট সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি বুধবার(২৪ফেব্রুয়ারী) ঘোষনা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। উক্ত কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে শেখ মোঃ আতাউর রহমান, মোঃ মোস্তাকিমুর রহমান, আল আর আকরাম উল্লাহ বাবু, মীর ওয়ালিদ উদ্দিন সাক্ষাত, মোঃ হাফিজুর মৈশান, জুনায়েদ মিয়া, মোঃ জুনাইদ মিয়া, মোঃ নুরুজ্জামান জাবেদ, মোঃ সোহাগ মিয়া, মোঃ জুবায়েদ মিয়া, মোঃ আক্তার মিয়া, মোঃ আতিকুর রহমান ও মোঃ সাইফুল ইসলাম খানসহ ১৩ জন এবং সদস্য হিসেবে মোঃ ফয়েজ উল্লাহ, মোঃ মাহবুবুর রহমান, গাজী উবায়দুল্লাহ, মোঃ মহসিন মিয়া, মোঃ নাদিম মিয়া ও মোঃ শাফি উদ্দিনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সকল ইউনিয়ন কমিটি গঠন করে কাউন্সিলের মাধ্যমে উপজেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় দপ্তর কর্তৃক প্রত্যায়িত উক্ত কমিটিতে নির্দেশনা রয়েছে।
আপনার মন্তব্য লিখুন