আল্লামা যুবায়ের আহমেদ আনসারী হুজুরের জানাযার পর ১৪দিনের লকডাউনে থাকা ১০ গ্রামে করোনা সনাক্ত হয়নি, গ্রামগুলো ঝুঁকিমুক্ত ও স্বাভাবিকঃ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৭:২১ অপরাহ্ণ , ১ মে ২০২০, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 3 years আগে
এম এ করিম সরাইল নিউজ ২৪.কমঃ
বাংলাদেশ খেলাফত ইসলামের সাবেক সিনিয়র নায়েবে আমির, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রখ্যাত মুফাচ্ছেরে কোরআন, জামিয়া রাহমানিয়া বেড়তলা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল প্রয়াত আল্লামা হাফেজ যুবায়ের আহমেদ আনসারী হুজুরের জানাযায় বিপুল সংখ্যক জনস্রোতকে কেন্দ্র করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সরাইল উপজেলার জামেয়া রাহমানিয়া বেড়তলা মাদ্রাসা মাঠের জানাযাস্থলের আশপাশের ১০টি গ্রামে গত ১৮ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন। জনসাধারণের সীমিত চলাচলের পাশাপাশি সেখানকার জনগণকে ১৪ দিন হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার আদেশ দেওয়া হয়।
আজ শুক্রবার (১ মে) শেষ হয়েছে সেই ১৪ দিনের হোমকোয়ারান্টাইনের সময়কাল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, জানাযার আশেপাশের ১০টি গ্রামে গত ১৪ দিনে কোনো উপসর্গ না পাওয়ায় কোনো ব্যক্তি সনাক্ত হয়নি। গ্রামগুলো আপাতত ঝুঁকিমুক্ত ও স্বাভাবিক মনে করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
উল্লেখ্য গত ১৭ এপ্রিল শুক্রবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের মার্কাস পাড়ায় নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন আল্লামা হাফেজ যুবায়ের আহমদ আনসারী হুজুর। পরদিন সকাল ১০টায় সরাইল উপজেলার জামিয়া রাহমানিয়া বেড়তলা মাদ্রাসা মাঠে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। করোনা পরিস্থিতিতেও স্বতস্ফূর্তভাবে হাজার হাজার আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক ও সাধারণ ধর্মপ্রাণ তোহিদি জনতা উক্ত জানাযায় অংশগ্রহন করেন। এ সময় জানাযার মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে পার্শ্ববর্তী ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের প্রায় ১কিলোনিটার এলাকাজুড়ে কাতারবন্দী হয়ে মানুষ জানাযায় অংশগ্রহন করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জুড়ে লকডাউন থাকায় জানাযায় জনতার ঢল থামাতে ব্যর্থ হওয়ার দায়ে সরাইল সার্কেলের এএসপি মাসুদ রানা, সরাইল থানার ওসি সাহাদাত হোসেন টিটো ও একই থানার ওসি (তদন্ত) নুরুল হককে প্রত্যাহার করা হয়। সেই সাথে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করে পুলিশ বিভাগ। জানাযার পর বিভিন্ন মহল থেকে নানা ধরনের মন্তব্য করার পাশাপাশি জানাযা স্থলের আশপাশে করোনা পরিস্থিতির অবনতির আশংকা করেন অনেকেই। কিন্তু ১০গ্রামের হোম কোয়ারান্টাইনের ১৪দিন পার হলেও সেখানে কোনো প্রকার করোনা সনাক্তের লক্ষণ দেখা না যাওয়ার খবরে স্বস্থি প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আলিয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহনকারী বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে অধিকারী এই আলেমেদ্বীনের জানাযাকে কেন্দ্র করে লকডাউন করা গ্রামগুলোতে করোনা লক্ষণ দেখা না যাওয়ার খবরে খুশি এলাকাবাসী। জীবনের বেশিরভাগ সময়ে পবিত্র কোরআনের খাদেম হিসেবে দ্বীনের খেদমতে থাকায় মহান আল্লাহপাক দুনিয়াতে যেমন আল্লামা হাফেজ যুবায়ের আহমেদ আনসারী হুজুরকে শ্বান মান দান করেছিলেন তেমনি আখেরাতেও তাঁকে বেহেস্থ এর উচঁ মাকাম দান করার জন্য দোয়া কামনা করেছেন হাজার হাজার আলেম-ওলামা, মাদ্রাসা ছাত্র, শিক্ষক ও তৌহিদি জনতা।
আপনার মন্তব্য লিখুন