সরাইলে আওয়ামীলীগ নেতা চুন্টা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মো: হাবিবুর রহমান এর সরাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
বার্তা সম্পাদক প্রকাশিত: ৬:৩৯ অপরাহ্ণ , ১৬ জুলাই ২০১৮, সোমবার , পোষ্ট করা হয়েছে 5 years আগেএম এ করিম সরাইল নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার(১৬জুলাই) দুপুরে সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো: বদর উদ্দিন বদু এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বাবুল এর সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য, চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদে চারবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান, চুন্টা এ সি একাডেমীর ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি শেখ মো: হাবিবুর রহমান। চুন্টা এ সি একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্টকারীগণ কর্তৃক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও বিদ্যালয়ের বিরোদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট, কাল্পনিক, ভিত্তিহীন মামলা ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ পরিবেশনের প্রতিবাদে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে তিনি এ সংবাদ সম্মেলেন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শেখ মো: হাবিবুর রহমান বলেন গত ০৭/০৬/২০১৮ তারিখে অনুষ্ঠিত বিদ্যালয়ের প্রথম সভায় উপস্থিত সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে মো: মর্তুজ আলী মিয়াকে কো-অপ্ট(বিদ্যোৎসাহী) সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়। বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনয়নের পরে চুন্টা গ্রামের আব্দুল বারেক ওরফে পাশু মিয়ার ছেলে দারোয়ান মাসুদ মিয়া ওরফে মাসুদুর রহমান একটি মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে তার আপন ভাই রহিম উদ্দিন ও নিকটাত্বীয় মুনিরুল ইসলামকে দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করে। অভিযোগটি বর্তমানে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে তদন্তাধীন রয়েছে। এছাড়া মাসুদুর রহমান ইতিমধ্যে আমার নিকট এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ নির্বাচনী আসনে আওয়ামীলীগ থেকে এমপি নির্বাচন করবে বলে ইচ্ছা ব্যক্ত করে এবং আমার নিকট থেকে পূর্ণ সহযোগিতা প্রত্যাশা করে। আমি তার এ প্রস্তাবে সাড়া দেইনি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার জনপ্রিয়তা, মান সম্মান বিনষ্ট করতে নানা ফন্দি ও ষড়যন্ত্র আটতে থাকে। ইতিমধ্যে ধুরন্ধর এই মাসুদুর রহমান একটি কাল্পনিক মিথ্যা ঘটনার জন্ম দিয়ে আমার বিরোদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করেছে। এই কপট মাসুদ আওয়ামীলীগ নেতাদের সহানুভূতি নেওয়ার জন্য উদ্ভট একটি ঘটনা সাজায়। সে নাকি বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্বজীবনী ও শেখ রাসেল স্মারক গ্রন্থ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: হাবিবুর রহমানের কাছে পাঠায়। এ সময় প্রধান শিক্ষক এবং বিদ্যালয়ের সভাপতি আমি শেখ মো: হাবিবুর রহমান বইগুলি না রেখে বঙ্গবন্ধু প্রধান মন্ত্রীকে আমরা নাকি কটুক্তি করেছি। প্রকৃতপক্ষে আমি ঐ দিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলাম না। পরে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে পারলাম বিদ্যালয়ে ওই দিন এ ধরনের কোনো ঘটনা-ই ঘটে নি। প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আরোও জানিতে পারি ঐ দিন সরাইল উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সকাল ১০টা থেকে বিকাল পর্যন্ত বিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন এবং এ বিষয়ে তিনি একটি প্রত্যয়ন পত্রও দিয়েছেন। তিনি আরোও বলেন আমি উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলাম এবং আওয়ামীলীগ আদর্শ লালনকারী হিসাবে দীর্ঘ চারবার চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। গত ইউপি নির্বাচনেও আওয়ামীলীগ থেকে নৌকার প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েছিলাম। এলাকায় আমার জনপ্রিয়তায় প্রতিপক্ষের কয়েকজন ঈর্ষান্বিত হয়ে নানা কূট কৌশল ও ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়ে দারোয়ান মাসুদুর রহমান আমার বিরোদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে এবং আমার বাবার বিরোদ্ধে মিথ্যা অপবাদ রটাচ্ছে। তাএ এহেন অন্যায় অপকর্ম ও ষড়যন্ত্রের বিরোদ্ধে আমি জোড়ালো প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: হাবিবুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিষদের অভিভাবক সদস্য আক্তার হোসেন, বিদ্যোৎসাহী সদস্য মুরতুজ আলী মিয়া, শিক্ষক প্রতিনিধি মাওলানা আতিকুল ইসলাম, মো: শাহীন মিয়াসহ সরাইল প্রেসক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মন্তব্য লিখুন