১৭ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

EN

২৬/১১ মুম্বাইয়ের জঙ্গী ও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিবিএসএস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাইকেল র‍্যালী ও প্রতিবাদ সভা

বার্তা সম্পাদক

প্রকাশিত: ১১:১৭ অপরাহ্ণ , ২৬ নভেম্বর ২০২১, শুক্রবার , পোষ্ট করা হয়েছে 2 years আগে

২৬/১১ মুম্বাইয়ের জঙ্গী ও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিবিএসএস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাইকেল র‍্যালী ও প্রতিবাদ সভা

নিউজ ডেস্কঃ

বিবিএসএস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আজ শুক্রবার (২৬ নভেম্বর, ২০২১) সকাল ৮টায় ২৬/১১ মুম্বাইয়ের জঙ্গী ও সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এক সাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সকালে রাজধানীর গুলশানের নিকুন্জ (পুলিশপ্লাজা) থেকে গুলশান ২ ও পাকিস্তান হাইকমিশন হয়ে এই কর্মসূচি পুলিশ প্লাজায় এসে শেষ করা হয়। করোনাভাইরাসের কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অনুষ্ঠিত এই র‌্যালির নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান তৌফিক আহমেদ তফছির। র‌্যালি উদ্বোধনকালে সংগঠনের মহাসচিব মো.শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির জনসংযোগ সম্পাদক মহিউদ্দিন মোল্লা , জাতীয় স্বেচ্চাসেবক পার্টির নেতা এমদাদুল হক ছালেক , নারী নেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, সিনিয়র সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

র‌্যালিপূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির জনসংযোগ সম্পাদক মহিউদ্দিন মোল্লা বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ সবসময়ই সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ, মাদকের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমান সরকারের কঠোর অবস্থান ও জিরো টলারেন্স নীতির কারণে বর্তমানে দেশে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসবাদ অনেকটা নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের মতো মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধেও বর্তমান সরকারের জিরো টলারেন্স নীতিকে আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে পারলে মাদক ও দুর্নীতির করাল গ্রাস থেকেও দেশে যুব সমাজকে রক্ষা করা সহজ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। অন্যদিকে আজকের দিনে আমাদের প্রতিবেশী ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বাইয়ে পাকিস্তানী সন্ত্রাসীদের হামলার নিহত ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।

সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনটির চেয়ারম্যান তৌফিক আহমেদ তফছির বলেন, বাংলাদেশে মূলত সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের সূত্রপাত হয় পাকিস্তানী দূসরদের দ্বারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যা করার মধ্যদিয়ে। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটেছে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে জঙ্গী হামলা, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১-এর গ্রেণেড হামলা, গুলশানের হলি আর্টিজানের ভয়াবহ জঙ্গী হামলাসহ সরাদেশের ৬৪ জেলায় একযোগে বোমা হামলার মতো বর্বরোচিত ঘটনা। তিনি বলেন, জঙ্গী-সন্ত্রাসীরা এসব হামলা চালিয়ে দেশের অসংখ্য মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমরা এসব হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং যথাযথ বিচার দাবি করছি।পাশাপাশি আজকের দিনে আমাদের প্রতিবেশী ভারতের মুম্বাই নগরীতে যে পাকিস্তানী সন্ত্রাসীরা হামলা করেছিল তার তীব্র ঘৃনা জানাচ্ছি। সমাপনী বক্তব্যে র‌্যালিতে অংশগ্রহনকারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আইএস-সহ নানা ভীতিকর নামধারী জঙ্গীগোষ্ঠী বিশ্বব্যাপী নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যেমন সারাবিশ্বকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে তেমনি পাকিস্তানের সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদীরা আজকের দিনে বর্বরোচিত মুম্বাই হামলার মতো ঘটনা ঘটিয়ে অসংখ্য নিরীহ-নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে ভারতসহ পুরো উপমহাদেশকে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে রেখেছে। ২০০৮ সালের আজকের দিনে ২৬ নভেম্বর সংঘটিত সেই হামলায় ১৭০ জন নিরীহ মানুষ পাকিস্তানী জঙ্গীদের গুলিতে প্রাণ হারায়। এই হামলার ১৩তম বর্ষপূর্তিতে আমরা নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানাই। তিনি বলেন, আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব যে কোন মূল্যে এসব সন্ত্রাসী-কর্মকান্ডের মূল উৎপাঠন হোক। আমরা চাই উপমহাদেশ তথা সমগ্র বিশ্বের প্রতিটি মানুষ শান্তিতে, সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে জীবন-যাপন করুক।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে সংগঠনের পক্ষ থেকে মাস্ক সরবরাহ করা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আর্কাইভ

April 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
আরও পড়ুন